বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার সাবমার্সিবল ঘরের চাল

অমরনাথ দত্ত : হঠাৎ বিকট শব্দ, তড়িঘড়ি গ্রামের লোক বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখতে পান বিস্ফোরণে উড়ে গেছে মাঠের মাঝে থাকা একটি ঘরের চাল। বিস্ফোরণে যে ঘরের চাল উড়ে গেছে সেই ঘরটি বীরভূমের ইলামবাজারের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শুনমুনি গ্রামের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী শেখ জালালের সাবমারসিবল ঘর। আর এই বিস্ফোরণের পর থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বিস্ফোরণ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়েছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ।

বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ওই সাবমারসিবল ঘরের টিনের চাল প্রায় ১০০ ফুট দূরে উড়ে গিয়ে পড়ে বলে জানা যায় স্থানীয় সূত্রে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ইলামবাজার থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। এই ঘটনার পিছনে কোন রকম নাশকতা জড়িয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ আধিকারিকরা।

যদিও শেখ জালালের স্ত্রী অর্থাৎ তৃণমূল সদস্যা বিস্ফোরণের এই ঘটনা নিয়ে তার স্বামীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তার দাবি, “আমরা তৃণমূলের ‘এ’ দল করি আর মান্নান, সিদ্দিকুল্লা, শেখ সামসুল, সিদ্দিক আলাম, ভুতুম ওরা ‘বি’ দল করে। ওরা কি করে আমার স্বামীকে ফাঁসানো যায় সেই চেষ্টা করছে।”

যদিও তৃণমূলের অপর পক্ষের বক্তব্য, “শেখ জালাল আগে তৃণমূল করতো। তবে এখন দল বিরোধী এবং দুষ্কৃতীকারী কাজকর্মের জন্য আমরা তাকে অনেকদিন আগেই দল থেকে বের করে দিয়েছি। এখন তৃণমূল দলের সাথে ওর কোন সম্পর্ক নেই। আর এখানেই তৃণমূলের কোনরকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও নেই। আসলে বিজেপি কোন কিছু ঘটলেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করে।”

তবে কি কারণে এমন বিস্ফোরণ ঘটলো তা নিয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, মাঠের মাঝে থাকা ওই সাবমারসিবল ঘরটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ অবস্থায় পড়েছিল।