নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল স্বাস্থ্য সাথী। এই প্রকল্প এক সময়ে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের হাতে থাকলেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই প্রকল্পকে সার্বজনীন করা হয়। এই প্রকল্প সার্বজনীন হওয়ার পর থেকেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। এবার এই প্রকল্পে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। যা রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে সুখবর।
রাজ্যের এই নতুন পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে যাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রয়েছে তারাও সুবিধা পাবেন, আবার যাদের নেই তারাও সুবিধা পাবেন। পিপিপি মডেলের অন্তর্ভুক্ত সমস্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ফেয়ার প্রাইস শপকে এক ছাদের তলায় আনা হচ্ছে। এর ফলে যে সমস্ত নাগরিকদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রয়েছে তারা এই সমস্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ফেয়ার প্রাইস শপ বিনামূল্যে পরিষেবা পেতে পারবেন।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন পরিষেবার জন্য হাসপাতালে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই কারণে রোগীকে ভর্তি করার সময় সমস্যায় পড়তে হয় রোগীর পরিজনদের। এর পাশাপাশি রোগীকে ভর্তি করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো থাকায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও অনেকে তা নিয়ে যেতে ভুলে যান। এসব ক্ষেত্রেও নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
সুবিধা অসুবিধার কথা মাথায় রেখে রোগীকে ভর্তি করার সময় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সঙ্গে না থাকলেও কোনো রকম অসুবিধা হবে না রোগী এবং তার পরিজনদের বলেই জানানো হয়েছে আধিকারিকদের তরফ থেকে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ধারকের আধার নম্বর থাকলেই হবে। স্বাস্থ্যসাথী পোর্টালে ধারকের আধার নম্বর দি এই সুবিধা পাবেন রোগী এবং রোগীর পরিজনরা।
এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায় সময় অথবা অন্য কোন কারণে অনেকেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করিয়ে উঠতে পারেন না। এই সমস্ত রোগীদের কথা মাথায় রেখে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা কোন রোগীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলে তাকে নতুন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।