Famous music director Jeet Ganguly opened up about the future of artists who suddenly went viral: ২০২০ সালের লকডাউন এর পর থেকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব অনেকটাই বেড়ে গেছে। সামনাসামনি দেখা না হওয়ার অভাব সাধারণ মানুষ মিটিয়েছেন ভার্চুয়াল আলাপের মধ্যে দিয়ে। এই সময় বেশ কিছু শিল্পীও হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়ে যান সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে। তাদের মধ্যে বেশকিছু জন প্রকৃতপক্ষে গুণী মানুষ হলেও বেশ কিছু জন কোনরকম প্রত্যাশা ছাড়াই হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়ে গেছেন। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রানু মন্ডল কিংবা কাঁচা বাদাম গানের জনক ভুবন বাদ্যকার অন্যতম। এই দুজন ব্যক্তিকে চেনে না এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতবর্ষে নয়, তাঁরা পরিচিতি পেয়েছেন সারা বিশ্বের কাছে।
ভার্চুয়াল বিপ্লবের যুগে ভাইরাল শিল্পীদের রমরমা, কিন্তু ভাইরাল শিল্পীরা খুব বেশিদিন ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে পারেনা এমনই মত প্রকাশ করেছেন বিখ্যাত সংগীত পরিচালক জিৎ গাঙ্গুলী (Jeet Ganguly) কিছুদিন আগেই পাইরেসি ও কপিরাইট সংক্রান্ত একটি আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এই মত প্রকাশ করেন তিনি।
টলিউড বলিউড উভয় ক্ষেত্রে বহুদিন ধরে সংগীত পরিচালনার কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন জিৎ গাঙ্গুলী (Jeet Ganguly) তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র খাঁটি শিল্পীরাই সুরের আকাশে দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারে, হঠাৎ করে ভাইরাল হয়ে যাওয়া কোন ব্যক্তি নয়। একটি বা দুটি গান করে হঠাৎ করে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাচ্ছেন এই সমস্ত শিল্পীরা, আর তারপর হঠাৎই একদিন হারিয়েও যাচ্ছেন। তিনি তাঁর এই বক্তব্য পেশ করার সময় এমন কিছু হঠাৎ ভাইরাল হওয়া শিল্পীর উদাহরণ হিসাবে ভুবন বাদ্যকর ও রানু মন্ডলের নাম বলেন।
এই ধরনের হঠাৎ ভাইরাল হওয়া শিল্পীদেরকে যে একেবারেই সমর্থন করছেন না জিৎ গাঙ্গুলী (Jeet Ganguly) তা তার কথায় ভীষণভাবে স্পষ্ট। তিনি বলেন, এই ধরনের শিল্পীরা সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়ে যান ঠিকই, কিন্তু ইন্টেলেকচুয়াল প্রপারটি রাইট সম্বন্ধে এদের কোন সচেতনতা নেই। একজন শিল্পী কতটা গুণী তাঁর বিচার তার একটা বা দুটো গান দিয়ে নয়, তাঁর গাওয়া একাধিক গানের উপর ভিত্তি করে করা উচিত।
একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে কোন শিল্পী যদি কোন জনপ্রিয় গান করেন তাহলে তার বদলে তিনি পারিশ্রমিক পান। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানেই যদি কোন রেকর্ডেড গান বাজানো হয় তাহলে সেই গানটির মূল্ স্রষ্টা কোনো পারিশ্রমিক পান না। আর এটা সেই শিল্পীর জন্য অত্যন্ত অপমানজনক বলেই মনে করেন জিৎ গাঙ্গুলী (Jeet Ganguly)। তার মতে, ভারতীয় শিল্পীদের মধ্যে রয়্যালিটি নিয়ে সচেতনতা খুবই কম। সেই তুলনায় পাশ্চাত্য শিল্পীদের মধ্যে এই সচেতনতা অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে। অনেক পাশ্চাত্য শিল্পী রয়েছেন যাঁরা শুধুমাত্র রয়্যালিটির উপর ভরসা করেই বিলাস ভুল জীবন যাপন করে চলেছেন।