Kancha Badam Copyright: ১৩ কোটি টাকায় ফিরবে ভাগ্য? কাঁচা বাদাম গানের স্বত্ত্ব নিয়ে ভুবন-গোপালের চূড়ান্ত লড়াই

লাল্টু : কাঁচা বাদাম (Kancha Badam), একটি গান গোটা বিশ্বকে নাচিয়েছিল, এবার সেই গান নিয়ে চলছে আইনের চূড়ান্ত লড়াই। একদিকে ভুবন বাদ্যকর দাবি করছেন, তিনি লেখাপড়া জানেন না আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোধূলি বেলা মিউজিক নামে একটি সংস্থার কর্ণধার গোপাল ঘোষ তার থেকে গানের কপিরাইট (Kancha Badam Copyright) হাতিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে গোপাল ঘোষ দাবি করছেন, পুরোটাই সজ্ঞানে হয়েছে এবং ভুবন বাদ্যকর নিজেই গানের কপিরাইট তাকে বিক্রি করেছিলেন।

গানের কপিরাইট কার তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে লড়াই। একদিকে ভুবন বাদ্যকর গোপাল ঘোষের বিরুদ্ধে থানা থেকে শুরু করে আদালত বিভিন্ন জায়গায় মামলা রুজু করেছেন। সম্প্রতি তিনি দাবি করছেন, সেই আইনি লড়াইয়ে তিনি জয়ের মুখে। জয় পেলেই তার হাতে আসবে মোটা অংকের টাকা। বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হচ্ছে সেই টাকার পরিমাণ এক দুই লক্ষ টাকা নয়, হতে পারে পুরো ১৩ কোটি টাকা।

গানের কপিরাইট নিয়ে সম্প্রতি ভুবন বাদ্যকর দাবি করেছেন, তিনি তার গানের কপিরাইট প্রথম বিক্রি করেছিলেন বাঁকুড়ার একটি মিউজিক সংস্থা বেঙ্গল রিমিক্স মিউজিককে। কিন্তু গোপাল ঘোষ তাকে আইপিআরএস অর্থাৎ শিল্পী ভাতা দেওয়ার নাম করে গানের সত্ত্ব নিজের সংস্থার নামে লিখিয়ে নেন। এরপর থেকে তিনি যেখানেই এই গান গাইতে যান সেখানেই গোপাল ঘোষ কপিরাইট দিতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি আসে যে তাকে কাঁচা বাদাম গানটি গাওয়াই ছেড়ে দিতে হয়। তবে এবার এই সমস্যার সমাধান করতে চলেছে এবং তার কাছেই গানের সত্ত্ব ফিরে আসবে।

আরও পড়ুন 👉 Bhuban Badyakar: ‘আমার গানে নেচেই তো এত বড় সেলিব্রেটি’! সেই যুবতীর কাছে এবার বড় আবদার ভুবনের

কিন্তু গোপাল ঘোষ এই সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ভুবন বাদ্যকর টাকার জন্য বিকিয়ে গিয়েছেন। তিনি তাদের সংস্থাকে গানের স্বত্ব বিক্রি করার পরও টাকার জন্য একাধিক সংস্থাকে গানের সত্ত্ব বিক্রি করেছেন। আর এই নিয়েই তৈরি হয়েছে যত দ্বন্দ্ব। টাকার জন্য তিনি এতকিছু করে এখন যে সত্ত্ব পাওয়ার বিষয়টি দাবি করছেন সেটিও ভুল। আসলে তিনি এখন যে ট্রেড মার্ক দেখাচ্ছেন সেটি গানের সত্ত্ব নয়।

এর পাশাপাশি গোপাল ঘোষ দাবি করেছেন, “ভুবন বাদ্যকর তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন ঠিকই, পাশাপাশি তাদের তরফ থেকেও ভুবন বাধ্য করেন এমন কাজকর্মের জন্য দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। যে দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে মূলত ফ্রড অর্থাৎ আমাদের কপিরাইট সত্ত্ব বিক্রি করার পরও অন্যজনকে তা বিক্রি করার জন্য এবং অন্যটি হল নিজের বয়ান পরিবর্তন করা। এই দুটি মামলার ডেট আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বোলপুর মহকুমা আদালতে রয়েছে। আমরা সেই দিনের দিকেই তাকিয়ে রয়েছি। আশা করা হচ্ছে সেদিন পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।” এর পাশাপাশি গোপাল ঘোষ দাবি করেছেন, “আমরা এই রকম বহু নামিদামি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করে থাকি। কিন্তু ভুবন বাদ্যকর যেভাবে আমাদের বদনাম করে চলেছেন তা অন্য কেউ কোনদিন করেননি এবং কোথাও আমাদের এই রকম বদনাম নেই।”

অন্যদিকে ১৩ কোটি টাকা পাওয়ার বিষয়ে যে দাবি করা হচ্ছে তা প্রসঙ্গে গোপাল ঘোষ জানিয়েছেন, “যে টাকা দাবি করা হচ্ছে সেই ইনকাম কোনো দিনই হয় না। এটাও একটা মিথ্যা প্রচার।”