নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেশের কৃষকদের সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা (PM Kisan Samman Nidhi Yojana) চালু করেছে। সম্প্রতি এই প্রকল্পের ১৭ তম কিস্তির টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের তরফ থেকে এই টাকা প্রদানের ফলে উপকৃত হবেন দেশের অন্ততপক্ষে ৯.৩ কোটি কৃষকরা। তবে এই সকল আর্থিক সাহায্য ছাড়াই চাষিরা যাতে দেড় গুণ বেশি টাকা পকেটে পুরতে পারেন তার জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র (Central Government)।
সরকারি কোনরকম আর্থিক সাহায্য ছাড়াই এবার দেশের কৃষকরা দেড় গুণ টাকা যাতে পকেটে পুরতে পারেন তার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ফসলের উপর এমএসপি বৃদ্ধি (MSP Announcement) করা হয়েছে। বুধবার ছিল সদ্য গঠন করা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক এবং সেই বৈঠকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমএসপি হল খাদ্যশস্যের উপর সরকারের তরফ থেকে জারি করা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ১৪ টি ফসলের উপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্র সরকারের নতুন ঘোষণায় ফসলের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের ৫০ শতাংশ লাভ নিশ্চিত করা হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের এমন ঘোষণার ফলে ফসলের দাম পাওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত লাভ করতে পারবেন। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যে ১৪ টি ফসলের দামের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে তার তালিকাতে রয়েছে ধানও।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কেন্দ্র সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ফসলের উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে খরচ হয় তার থেকে দেড়গুণ বেশি হল কেন্দ্র সরকার যে এমএসপি ঘোষণা করেছে তা। অর্থাৎ যদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি সঠিক হয় তাহলে চাষীরা তাদের চাষ আবাদের জন্য যে খরচ পড়ে থাকেন তার থেকে দেড় গুণ বেশি দামে ফসল বিক্রি করতে পারবেন। লাভের অংক দাঁড়াবে দেড় গুণ বেশি।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কেন্দ্র সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধানের ক্ষেত্রে কুইন্টাল প্রতি দাম বেড়েছে ১১৭ টাকা। দাম বৃদ্ধির পর ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দাঁড়ালো কুইন্টাল প্রতি ২৩০০ টাকা। এছাড়াও তুলো, মিলেট, জোয়ার, বাজরা, রাগি, মুগডাল, তুর ডাল, উরাদ ডালের সহায়ক মূল্যও বৃদ্ধি করা হবে।