নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গোৎসব দোরগোড়ায়। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তবে এরই মাঝে যখন দেশের কোভিড গ্রাফ নিম্নমুখী তখন বাংলার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। দিন কয়েক ধরেই ক্রমাগত বেড়ে চলেছে রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির মূলে রয়েছে কেনাকাটার জন্য বাজারে ঝাঁপিয়ে পড়া বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেনাকাটার ভিড় বাড়তে রাজ্যের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৭.২১%। যা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকারের।
আর এই ঊর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফকে সামনে রেখে দূর্গোৎসবের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক ঘোষণা করতে দেখা গেল সোমবার। এই সকল ঘোষণার মধ্যে যেমন রয়েছে কোভিড পরীক্ষার খরচ কমানোর ঘোষণা, ঠিক তেমনি রয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও সুগম করতে নিয়োগ, অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া এবং কোভিড পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীদের ছুটি সংক্রান্ত ঘোষণা। মূলত উৎসবের মুহুর্তে উদ্বেগ কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ঘোষণা করেন, কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলিতে ২৪৭৫ জন নার্স নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি তিনি জানান রাজ্যের সর্বত্র সমস্ত স্তরের জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত, কোভিড পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মী ও আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করার কথা। মূলত সব ধরনের সর্তকতা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুজোর সময় ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে নবান্নের কন্ট্রোল রুম। স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত জরুরী ভিত্তিতে সাধারণ মানুষ যোগাযোগ করতে পারেন এই কন্ট্রোল রুমের ১০৭০, ২২১৪৩৫২৬ নম্বরে। অন্যদিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে কোভিড টেস্টের মূল্য ২২৫০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা করার কথা জানান তিনি। এর পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া যাতে কমানো হয় তার দিকেও সংশ্লিষ্ট রেগুলেটরি কমিশনের কাছে আর্জি জানানোর কথা বলা হয়।
তবে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া এবং নার্সিংহোমের বিল কমানোর বিষয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, এর আগেও অনেক ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু তাতে কোনো রকম সুফলতা মেলেনি। এখন প্রশ্ন আগামী দিনে এই ঘোষণা কতটা সুদূর প্রসারী হয়!