রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট, বোলপুরের Axis ব্যাঙ্কে আগুন, উঠছে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর সিবিআই আধিকারিকরা তদন্তের নিরিখে বিভিন্ন ব্যাংকে হানা দিয়েছেন। হানা দেওয়া এই সকল ব্যাংকের মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক হল বোলপুরের শান্তিনিকেতন রোডের অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক। যে ব্যাংকে বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সিবিআই আধিকারিকরা যে ব্যাংকে একাধিকবার নথিপত্র সংগ্রহের জন্য হানা দিয়েছেন সেই ব্যাংকে এইভাবে আগুন লাগার ঘটনায় উঠছে নানান প্রশ্ন।

বুধবার যে ব্যাংকে এমন অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে সেই ব্যাংকে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও এই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত তার দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনের। পাশাপাশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের এবং অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ বায়েনের। এছাড়াও এখানে অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বেশ কয়েকজন আত্মীয়ের।

বোলপুরের এই অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ককে নথি সংগ্রহ করতে সিবিআই আধিকারিকরা চারবার হানা দেন বলে জানা যাচ্ছে। শুধু হানা দেওয়া নয়, এর পাশাপাশি একাধিকবার এই ব্যাংকের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয় বোলপুরের রতন কুঠির অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকে এইভাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নথিপত্র নষ্ট করে দেওয়ার মতো অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়রা।

মহঃ মহসিন নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, “হঠাৎ করে আগুন লাগলে বাড়ি অথবা অফিসে বা ব্যাংকে যারা রয়েছেন তাদের তাড়াহুড়ো করে বের হতে দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়ে এখানে আগুন লাগার পর দেখলাম কর্মীরা সব ধীরে সুস্থে আরাম করে বেরিয়ে আসছেন। এর পাশাপাশি মাত্র দু মিনিটে রাস্তার দূরত্বে রয়েছে দমকল বাহিনী। তাদেরও আসতে এত সময় কেন লাগলো? প্রশ্ন তো উঠবেই।”

ব্যাংকের আধিকারিক অথবা কর্মীরা এই বিষয়ে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। অগ্নি সংযোগের ঘটনার পর গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। ঘটনাস্থলে চারটি দমকল বাহিনীর ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে যেভাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তাতে প্রচুর পরিমাণে নথিপত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। স্থানীয়রা এমন অগ্নিসংযোগ নিয়ে নানান প্রশ্ন তুললেও এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা কি ইচ্ছাকৃত নাকি দুর্ঘটনা তার সময় বলবে।