Hydrogen Train: দেশের পরিবহন ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে সবথেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে এই পরিবহন ব্যবস্থাকে। যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেল নিজেকে আপগ্রেড করছে দিনকে দিন। আধুনিক পরিষেবা থেকে শুরু করে কোচগুলোকেও পর্যন্ত আপগ্রেড করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারতীয় রেলের আধুনিক প্রযুক্তিগত ট্রেনের সবথেকে বড় উদাহরণ হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এর পাশাপাশি ভারতীয় রেলওয়ে খুব শীঘ্রই চালু করার পরিকল্পনা করছে গ্রাউন্ডব্রেকিং ট্রেন। এই ট্রেনটি চালানোর জন্য প্রয়োজন নেই ডিজেল কিংবা বিদ্যুতের। এই “জলচালিত” ট্রেনটি শীঘ্রই ট্র্যাকে চলতে প্রস্তুত। আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে হাইড্রোজেন ট্রেনের রুট, গতি এবং অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে।
ভারতীয় রেলের বিবর্তনের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে আগের থেকে নিজেকে আরো অনেক বেশি উন্নত করার চেষ্টা করেছে ভারতীয় রেল। প্রথম চালু হয়েছিল বাষ্প চালিত ইঞ্জিন দিয়ে এবং তারপরে কয়লায় স্থানান্তরিত হয়েছিল। তারপরে ট্রেনের ইঞ্জিনগুলি জীবাশ্ম জ্বালানী শক্তিতে স্থানান্তরিত হয়। তবে দূষণ এড়ানোর জন্যই নতুন পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। আধুনিক ট্রেন বিদ্যুতে চলে যা কয়লা জ্বালিয়েও উৎপন্ন হয়। জল দ্বারা চালিত ট্রেন (Hydrogen Train) এই প্রথমবার চলতে পারে ভারতের মাটিতে। এরমধ্য দিয়েই যেন সূচনা হচ্ছে এক নতুন যুগের।
আরো পড়ুন: বন্দে ভারত চড়তে পারবেন মাত্র ৩০ টাকায়, অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি
গোটা দেশবাসী অপেক্ষা করে আছে সেই দিনটির জন্য যেদিন দেশের মাটিতে প্রথম জল চালিত ট্রেন (Hydrogen Train) চলবে। এটি উন্নত হাইড্রোজেন জ্বালানি প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্জন করা হবে। হাইড্রোজেন ট্রেনের পাইলট প্রকল্প শিগগিরই চালু হবে এমনটাই পরিকল্পনা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই ট্রেনটিতে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৪০,০০০ লিটার জলের প্রয়োজন হবে এবং গোটা বিষয়টিকে পরিচালনা করার জন্য জল সঞ্চয়স্থান তৈরি করা হবে৷
আরো পড়ুন: ভারতে চালু হবে ইঞ্জিনহীন হাই-স্পিড ট্রেন, চলবে রাজধানীর থেকেও দ্রুত
চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে হাইড্রোজেন ট্রেনের পাইলট প্রকল্পটি (Hydrogen Train) চালু হবে। সারা দেশ জুড়ে বর্তমানে ৩৫টি মতো হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারতীয় রেল হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন শুরু করে রেলের ইতিহাসে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। হাইড্রোজেন প্ল্যান্টের ডিজাইনও অনুমোদিত হয়ে গেছে। আনুমানিক হাইড্রোজেন ট্রেনের জন্য খরচ হবে প্রায় 80 কোটি টাকা।
হাইড্রোজেন ট্রেনটি চালানোর জন্য হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে রূপান্তর করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হবে। শুধু তাই নয় হাই-টেক ট্রেনটি যথেষ্ট গতিসম্পন্ন হবে। প্রথম হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনটি হরিয়ানার ৯০ কিলোমিটার জিন্দ-সোনিপাত রুটে চলার সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও চিন্তা করা হয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে, কালকা-সিমলা রেলওয়ে, মাথেরান রেলওয়ে, কাংড়া ভ্যালি, বিলিমোরা ওয়াঘাই এবং মারওয়ার-দেওগড় মাদারিয়া রুটে চালানো হবে। হাইড্রোজেন ট্রেনের গতি হলো ১৪০ কিমি/ঘন্টা।একবার চললে ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত কভার করবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে।