Mukesh Ambani Gautam Adani: ব্যবসায়িক শত্রুতা অতীত! এবার মিলেমিশে একাকার, নতুন অধ্যায় শুরু করলেন আম্বানি-আদানি

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্ব ধনকুবেরদের তালিকায় যে সকল ভারতীয়রা অধিকাংশ সময় জায়গা পেয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলো মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) এবং গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এই দুই ধনকুবের আবার ভারতীয় হলেও নিজেদের মধ্যেই ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিযোগিতায় নামতে দেখা গিয়েছে। যে কারণে তাদের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে শত্রু বলেই ধরা হতো।

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বি, শত্রু হিসাবে পরিচিতি লাভ করলেও এবার কিন্তু একসঙ্গে হাত মেলালেন মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানি। মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং গৌতম আদানির আদানি গোষ্ঠী এইভাবে একসঙ্গে হাত মেলাবেন তা হয়তো অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য। তবে অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই হলো।

ভারতের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এমনটা প্রথম ঘটলো মূলত মহারাষ্ট্রে আদানি গোষ্ঠীর থাকা একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের হাত ধরে। যে বিদ্যুৎ প্রকল্পের ২৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব কিনেছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। দুই সংস্থার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে সেই চুক্তি অনুযায়ী, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ আদানি গোষ্ঠীর এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ক্যাপটিভ ব্যবহারের জন্য ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় করবে।

আরও পড়ুন 👉 Anant Ambani Pre-wedding: আম্বানির ছেলের প্রি-ওয়েডিংয়ে নিমন্ত্রিতরা শুধু গিফ্ট দেননি, পেয়েছেন রিটার্ন গিফ্টও! কি কি দেওয়া হয় ফেরৎ

এছাড়াও চুক্তি অনুযায়ী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস মহান এনারজেন লিমিটেড সংস্থার পাঁচ কোটি ইকুইটি শেয়ার নেবে। ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ওই সহায়ক সংস্থার সম্পূর্ণ মালিকানা রয়েছে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের হাতে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিসের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছে তা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি এবং ২০ বছরের জন্য হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। পাশাপাশি ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা খুব তাড়াতাড়ি ২৮০০ মেগা ওয়াটে পৌঁছে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। যার মধ্যে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট রিলায়েন্সের ক্যাপটিভ ব্যবহারের জন্য রাখা হবে।

ভারতের এক ও দু’নম্বর ধন কুবেরের তালিকায় থাকা মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানির মধ্যে ব্যবসা নিয়ে যে প্রতিযোগিতা চলে তাতে তাদের এক সঙ্গে এইভাবে জুটি বাঁধা দেশের মানুষকে রীতিমতো অবাক করেছে। তবে ব্যবসায় সবকিছু হয় সেটাই প্রমাণ হলো আবারও। যদিও গৌতম আদানির থেকে নেওয়া বিদ্যুৎ কোথায় খরচ করা হবে তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি মুকেশ আম্বানির সংস্থার তরফ থেকে।