নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের উপর নির্ভর করে প্রতিদিন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। রেলের এই ব্যাপক চাহিদার দিকে তাকিয়ে ভারতীয় রেলকে গণপরিবহনের মেরুদন্ড বলা হয়। যাত্রীদের কাছে যেমন রেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ঠিক তেমনি আবার রেলেরও দায়িত্ব যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দে এবং সুরক্ষিতভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে।
যাত্রীরা যাতে কোনরকম অভিযোগ ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছান সেই জন্য রেলের বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে ভাবাচ্ছে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী এবং শিশুদের খাবার নিয়ে। এই বিষয়ে মঙ্গলবার ভারতীয় রেল বোর্ডের সদস্যরা একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এমন সমস্যা সমাধানের জন্য। এর পাশাপাশি খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রে আইআরসিটিসির নিয়ম কানুনকে আরও শিথিল করার কথা বলা হয়েছে।
রেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইআরসিটিসিকে বলা হয়েছে, খাবারের মেনুতে এবার আঞ্চলিক খাবারও রাখতে হবে। উৎসবের মরশুমে বিশেষ মেনু রাখার কথা বলা হয়েছে এবং ডায়াবেটিক রোগী, শিশু ও স্বাস্থ্য সচেতন যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে মেনুতে সেই ধরনের খাবার রাখার কথা বলা হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের ক্ষেত্রে খাবারের বিভিন্ন ধরনের চাহিদা থাকে। সেই সকল চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার ট্রেনে যাত্রাকালে পাওয়া যেতে পারে ফাফদা, ধোকলা, বড়া পাও এমন নানান ধরনের বৈচিত্রময় খাবার।
ভারতীয় রেলের এই সিদ্ধান্তের পর জানা যাচ্ছে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে স্ট্যান্ডার্ড মিল ঠিক করতে পারবে আইআরসিটিসি। তবে জনতা মিলের মেনু এবং দাম আগের মতোই থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।