রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারেও QR কোড, আজব লাগলেও হেব্বি কাজের

নিজস্ব প্রতিবেদন : আজকাল ট্রেনে বাসে যাতায়াত করার সময় টিকিটে অথবা বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটার সময় QR কোড দেখতে পাওয়া যায়। এসব ক্ষেত্রে আসল অথবা নকল চেনার জন্য এবং পেমেন্টের ক্ষেত্রে এই কোড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবার এসকলকে ছাড়িয়ে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারেও কিউআর কোড লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি আজব লাগলেও হেব্বি কাজের।

ভারতে যে সকল সংস্থার তরফ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক হল Indane সংস্থার। দেশের কোটি কোটি মানুষ এই সংস্থার গ্রাহক। তবে দেখা যায় গৃহস্থালিদের জন্য ব্যবহৃত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বহু সময় চুরি অথবা অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এই QR কোড লাগানো হচ্ছে, যাতে সমস্ত কিছু ট্র্যাকিং করা অনেক সহজ হবে।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ১৪.২ কেজি ওজনের QR কোড লাগানো নতুন কুড়ি হাজারটি গ্যাস সিলিন্ডার ইতিমধ্যেই বাজারে ছাড়া হয়েছে। পুরাতন যে সকল গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে সেগুলিতেও কিউআর কোড লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই কিউআর কোডের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সিলিন্ডারটির নিরাপত্তা পরীক্ষা তথ্য এবং কোথায় সিলিন্ডারে গ্যাস ভরা হয়েছে ইত্যাদি নানান তথ্য থাকবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, চুরি যাওয়া, সন্ধান করা, মজুত ব্যবস্থার উন্নয়নের মতো অনেকগুলি সমস্যার সমাধান হতে পারে এই কিউআর কোড পদ্ধতি দেশে চালু থাকা প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডারে সংযুক্ত করা হলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যের স্পষ্ট নিরাপত্তা ছাড়াও চুরির বিষয়টির দিকেই সবচেয়ে বেশি নজর রাখার জন্য এমন কিউআর কোড।

বাড়িতে বাড়িতে কিউআর কোড গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে যাওয়ার ফলে গৃহস্থালিদের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, কোন গ্যাস সিলিন্ডারে কত পরিমাণ গ্যাস রয়েছে তা সহজেই জানা যাবে। এর ফলে গ্যাস কম দেওয়ার যে অভিযোগ ওঠে সেই অভিযোগ নিমেষে দূর হবে। গৃহস্থালিরাও নিজেদের ন্যায্য গ্যাস পাবেন।