নিজস্ব প্রতিবেদন : গত বছর থেকে বদলে গিয়েছে ধর্মীয়, সামাজিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের অনুষ্ঠান। করোনা সংক্রমণের প্রকোপের জেরে এই সকল অনুষ্ঠান বদল হতে বাধ্য হচ্ছে। আগের মতো আর সেই স্বাধীনতা নেই, বরং কড়া কঠোর বিধির মধ্যেই রীতিনীতি মেনে এই সকল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। ঠিক একইভাবে গত বছরের মতো চলতি বছরেও দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে জানতে না থাকবে একাধিক বিধি নিষেধ। এমনই ১২টি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ এর পক্ষ থেকে।
১) যতটা সম্ভব বাজেট কম রেখে পুজোর আয়োজন করা হবে। পুজো থেকে বাঁচা অর্থ পার্শ্ববর্তী এলাকায় জনহিতকর কাজে ব্যবহার করা হবে।
২) প্যান্ডেল সম্পূর্ণভাবে খোলামেলা তৈরি করা হবে যাতে করে দর্শনার্থীরা দূর থেকে প্রতিমা দর্শন করতে পারেন।
৩) পুজো মণ্ডপ এবং অন্যান্য সাজসজ্জার কাজে যুক্ত প্রত্যেকের টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে হবে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে।
৪) প্যান্ডেলের ভিতরে সাজসজ্জা অথবা কারুকার্য কম রাখতে হবে। সাজসজ্জা, কারুকার্য অথবা অন্য কোন ব্যবস্থাপনা প্যান্ডেলের বাইরের দিকে যাতে করা যায় তার দিকে প্রাধান্য দিতে হবে। এতে দর্শনার্থীরা বাইরে থেকেই সেগুলি দেখার সুযোগ পাবেন।
৫) ব্যান্ডেলে প্রবেশের পথ দীর্ঘ রাখতে হবে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়।
৬) গেটের কাছে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। দর্শনার্থীদের ফেস মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক।
৭) ঠাকুরের ভোগ অথবা প্রসাদের ক্ষেত্রে কাটা ফল রাখা যাবে না।
৮) পুষ্পাঞ্জলী, সন্ধিপূজা থেকে সমস্ত পুজোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।
৯) একসঙ্গে সবাই মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। স্বেচ্ছাসেবীদের সাহায্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন।
১০) শুধু সন্ধ্যা বা রাতে নয়, দিনেও যাতে দর্শনার্থীরা পুজো মণ্ডপ এবং প্রতিমা দর্শন করে যান তার জন্য প্রচার চালাতে হবে।
১১) বিসর্জনের ক্ষেত্রেও অল্পসংখ্যক মানুষ নিয়ে তা সম্পন্ন করতে হবে।
১২) পুজোর আয়োজন থেকে সমস্ত কিছু করতে হবে WHO, ICMR এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশাবলী মেনে।