A fraud businessman sold 300 rupees jewelry for 6 crores to an American woman: ডিজিটালাইজেশনের যুগে কেনাকাটার ব্যাপারেও দেখা যাচ্ছে ডিজিটালাইজেশনের ছাপ। এখন দোকানে গিয়ে দেখেশুনে জিনিস কেনার সময় কারোর নেই। তাই বাড়ছে অনলাইন শপিং এর চাহিদা। যতদিন এগোচ্ছে অনলাইন শপিং এর চাহিদা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। মুদি মাল থেকে শুরু করে জামা-কাপড়, গয়না-গাটি, জুতো সবকিছুই পাওয়া যায় অনলাইনে। আর মানুষের মধ্যে অনলাইন শপিং এর চাহিদা বাড়ানোর জন্য একাধিক অফারও নিয়ে আসছে শপিং অ্যাপগুলি। তবে এই অনলাইন শপিং করতে গিয়ে পণ্য প্রতারণার (Jewelry Fraud) শিকার হন বহু মানুষ। জিনিস অর্ডার করে একেবারেই ঠকে গেছে এমন নিদর্শনও কিন্তু খুব একটা কম নেই! সম্প্রতি অনলাইন থেকে শপিং করে খুব বাজে ভাবে ঠকে যাবার কাহিনী সামনে এসেছে।
একদিকে যেমন বাড়ছে অনলাইন শপিং এর চাহিদা। অপরদিকে বাড়ছে প্রতারণার পরিমাণও। পণ্য প্রতারণা (Jewelry Fraud) বলতে বোঝায় আপনি নির্দিষ্ট একটি জিনিসের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছেন সেটির অন্যায্য হওয়া। সহজ ভাষায় বললে, কোন জিনিস কিনে ঠকে যাওয়াকেই বলে পণ্য প্রতারণা। আপনি একটি জিনিস টাকা দিয়ে কিনলেন অথচ সেই জিনিসটি আপনার কাছে পৌঁছল না অথবা সেই জিনিসটির বদলে একদমই অপ্রয়োজনীয় কিছু এসে পৌঁছল আপনার কাছে। অথবা যে জিনিসটি আপনি কিনছেন তার ন্যায্য মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে কিনলেন কোন বস্তু এই সব কিছুই পণ্য প্রতারণার অন্তর্গত বিষয়। সম্প্রতি এক মার্কিন মহিলা পণ্য প্রতারনা শিকার হয়েছেন। তাও আবার এক ভারতীয় ব্যবসায়ীর কাছে। মাত্র ৩০০ টাকার গয়না তিনি কিনেছেন কয়েক কোটি দিয়ে।
অনলাইন শপিং কাল হয়েছিল মার্কিন মহিলা চেরিশ নর্তেজের জীবনে। খুব বাজেভাবে পণ্য প্রতারণার (Jewelry Fraud) শিকার হয়েছেন তিনি। ২০২২ সালে ইন্স্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভারতের রাজস্থানের বাসিন্দা গৌরব সোনি নামে এক গয়না ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ হয় চেরিশের। গৌরব সোনি ও তার বাবা রাজস্থানের জহোরী বাজারে এক প্রকার নকল গয়নার ব্যবসা করেন। মূলত তারা রুপোর গয়নার উপর সোনার জল করে সেগুলিকেই বিক্রি করেন। অনলাইনের মাধ্যমে আসল সোনার নাম করে এমনই কিছু নকল সোনা বিক্রি করেছিলেন গৌরব সোনি। দিয়েছিলেন হলমার্কের জাল সার্টিফিকেটও। ২ বছর ধরে একটু একটু করে গয়না কিনতে কিনতে প্রায় ৬ কোটি টাকার গয়না কিনেছেন তিনে। জালিয়াতি ধরা না পড়লে হয়তো আরো অনেক টাকার গয়না কিনতেন তিনি।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে একটি প্রদর্শণীর আয়োজন করা হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেই প্রদর্শনীতেই চেরিশ তার গয়নাগুলি প্রদর্শন করেন। সেখান থেকেই ধরা পড়ে সমস্ত জালিয়াতি। প্রদর্শনী থেকেই চেরিশ জানতে পারে তার গয়নাগুলি একটিও আসল সোনার গয়না নয়। নকল সোনার গয়নাকে এতদিন ধরে আসল সোনার গয়না ভেবে কিনে এসেছেন তিনি। এই জালিয়াতির কথা প্রকাশ্যে আসতেই সোজা আমেরিকা থেকে ভারতে চলে আসেন চেরিশ। প্রথমে তিনি গৌরব সোনির সাথে দেখা করেন এবং তার টাকা ফেরত চান। কিন্তু গৌরব সোনি সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করে। এরপর তিনি স্থানীয় পুলিশ এবং আমেরিকান দূতাবাসের কাছে সাহায্য চান। এরপর বিপদ বুঝে গৌরব সোনি ও তার বাবা এবং স্ত্রী তিনজনেই পালিয়ে যান এলাকা ছেড়ে। বর্তমানে পুলিশ তাদের খোঁজ করছে।
দিনের পর দিন গৌরব সোনি আসল সোনার দামে নকল গয়না বিক্রি করে গেছে চেরিশ নরতেজের কাছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যে অর্থগুলি চেরিশ নড়তেজের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল তার বেশিরভাগটাই ট্রান্সফার করা হয়েছে গৌরব সোনির স্ত্রী এর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যে পণ্য প্রতারণার (Jewelry Fraud) সাথে যুক্ত আন্দাজ করে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করেছে রাজস্থান পুলিশ। তারা জানিয়েছে, নন্দকিশোর নামের গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তি গৌরব সোনিকে নকল গয়নার হলমার্ক সার্টিফিকেট তৈরি করে দিয়েছিল। নকল সার্টিফিকেট তৈরি কর এক প্রকার জালিয়াতির অংশ।