‘আজীবন বিনামূল্যে রেশন, স্বাস্থ্য-শিক্ষা পরিষেবা’, যুগান্তকারী ঘোষণা মমতার

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল আবার ক্ষমতায় ফিরলে পশ্চিমবঙ্গের সকল মানুষকে দেওয়া হবে আজীবন বিনামূল্যে রেশন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। মঙ্গলবার ২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সমাবেশ মঞ্চ থেকে এমন যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাবেশে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম রাজ্য যে করোনা পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করলো। আগামী মে পর্যন্ত বিনামূল্যে এই রেশন দেওয়া হবে।

সেই সঙ্গে তিনি এই ঘোষণাও করেন আগামী বছর বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরে এলে পশ্চিমবঙ্গবাসী সারাজীবন বিনামূল্যে রেশন ও স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে পাবে। জানান, আমি অন্য জায়গা থেকে উপার্জন করব। আর সেই আয় ভাগ করে দেব গরিব মানুষের মধ্যে।এটাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতি ও আদর্শ।

বিরোধীদের তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “এরা রাজ্যে লন্ডভন্ড করে বেড়াচ্ছে। এদের কেউ আগে কখনো দেখেনি। দিনরাত এরা বলছে এন’কাউন্টার করে দাও, গু’লি চালিয়ে দাও। এদের সমর্থন করলে ঠকবেন। বিজেপিতে ভুল করে গেলে চলে আসুন। বহিরাগত নয় বাঙালি বাংলাকে চালাবে। কেন্দ্র আমাদের অপমান করছে। ২১ মানবিকতা দিয়ে বদলার বদলা নেবো আমরা। বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। বিধায়ক পদের টোপ দিয়ে ফোন আসছে। কেন্দ্রে আছে বলে কি জোড় দেখাবেন।” সেই সঙ্গে বিজেপি পার্টির উস্কানিমূলক বক্তব্যে তিনি বিরোধীতা করেন।

যদিও কংগ্ৰেস নেতা অধীর চৌধুরী জানান, বিজেপি নিয়ে মমতা নাটক করছেন। তিনি বিজেপিকে বাংলায় নিয়ে এসেছেন। শহীদের নাম করে তিনি নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়িয়েছেন। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগও করেন, আমফান নিয়ে ব্যাপক দুর্ণীতি হয়েছে। দিদিমণি এই বিষয়ে বক্তব্য রাখুন।

https://www.facebook.com/AITCofficial/videos/3546085992110512/

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, আমফানে ক্ষতিগ্ৰস্ত লোকেরা নায্য ক্ষতিপূরণ পাবেন। সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার মতো আমরা ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। সেই সঙ্গে বলেন, “একটা গাছে অনেক ফল ফলে। একটা গাছের ফল কি শুধু একটা লোকই খায়! অনেকে খায়। মনে রাখবেন গাছের ফলটা যেমন ফলাতে হবে, তা আবার সাধারণ মানুষকে বেঁটে দিতে হবে।” অসহায়, অবহেলিত, শোষিত, নি’পীড়িতের মানুষদের পাশে থাকার কথা বলেন শহীদ দিবসের এই দিনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।