খাবার থেকে পোশাক, অনলাইন কেনাকাটায় এই দিন থেকে বাড়ছে খরচ

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে বিপুল চাহিদা রয়েছে অনলাইনে খাবার থেকে শুরু করে পোশাক সহ বিভিন্ন সামগ্রী অর্ডার করা। গত কয়েক বছর ধরেই অনলাইনে এই সকল জিনিসের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তবে সব থেকে বেশি চাহিদা বৃদ্ধি পায় দেশে লকডাউন জারি হওয়ার সমকাল থেকে। বর্তমানে এই সকল অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে বাড়তে চলেছে খরচ।

Advertisements

GST-এর ক্ষেত্রে বড় মাত্রায় পরিবর্তন আসার কারণেই এই খরচ বৃদ্ধি পেতে চলেছে। পাশাপাশি খরচ বৃদ্ধির মূলে শামিল রয়েছে ট্রান্সপোর্ট আর রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে সার্ভিসেস ট্যাক্স। এছাড়াও শুল্কের পরিকাঠামো ঘটতে চলেছে ফুটওয়ার আর টেক্সটাইলের ক্ষেত্রে। এইসকল বদল হতে চলেছে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে। নতুন পরিকাঠামো অনুযায়ী আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সমস্ত ফুটওয়ার ও রেডিমেড পোষাক সমেত সমস্ত টেক্সটাইল প্রোডাক্টসের উপর ১২ শতাংশ জিএসটি বসবে।

Advertisements

অন্যদিকে অটোরিকশা চালকদের অফলাইন অর্থাৎ নগদ ভাড়া দিলে কোন ছাড় পাওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে যদি ওই অটোরিকশা চালকদের কোন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে পেমেন্ট দেওয়া হয় তাহলে নতুন বছরে তার উপর ৫% ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হবে।

Advertisements

নতুন বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলিকে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সংগ্রহ করে পরিষেবা দেওয়ার মতোই জিএসটি দিতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি এই পরিষেবা দেওয়ার সময় বিল দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকদের উপর আলাদা কোনো চাপ পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ রেস্তোরাঁগুলি আগে থেকেই জিএসটি রেভিনিউ সংগ্রহ করে। পরিবর্তন বলতে এটাই, ট্যাক্স এবং বিল জারি করার দায়িত্ব থাকবে ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির।

এই নিয়ম জারি করা হচ্ছে মূলত ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার মতো কোনো সুযোগ যেন না পায় কেউ। সরকারের অনুমান ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলি গত দুই বছরে সম্পূর্ণ তথ্য না দেওয়ার কারণে সরকারি খাজানায় লোকসান হয়েছে। যে কারণে এবার এই সকল সংস্থাগুলিকে জিএসটি জমা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়ার ফলে ট্যাক্স চুরি কম হবে।

Advertisements