From now on, even if you want to stay in a hostel, you will have to pay GST: ছাত্র জীবনে অনেকেরই এমন সময় আসে যখন হোস্টেল কিংবা পিজিতে থাকতে হয় পড়াশোনার জন্য। এতদিন হোস্টেল কিংবা পিজির খরচ জিএসটির আওতায় ছিল না। কিন্তু বর্তমানে পড়ুয়াদের খরচ বাড়তে চলেছে। কেন হোস্টেল কিংবা পিজিতে থাকতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের খরচ বৃদ্ধি পাবে? আসলে হোস্টেল কিংবা পিজি আসতে চলেছে জিএসটি এর আওতায়। কর্ণাটকের (Karnataka) অথোরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিং (AAR) বেঞ্চ এর ভাষ্যমতে হোস্টেল বা পেয়িং গেস্টের ক্ষেত্রে এখন থেকে ১২ শতাংশ জিএসটি (GST on Hostel) দিতে হবে।
সুতরাং সাধারণ ঘরের ছাত্র-ছাত্রীদের মাথায় হাত পড়ার মতো অবস্থা। এই ঘোষণা প্রকাশ্যে এসেছে শুক্রবার, কর্ণাটকের (Karnataka) অথোরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিং (AAR) বেঞ্চ এই সিদ্ধান্তটি জারি করেছে। এর মূল কারণ হলো হস্টেল এবং পিজিগুলিকে ‘আবাসিক ইউনিট’ হিসেবেই ধরা হবে এখন থেকে। সেই দিক থেকে বিচার করলেই ১২ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে (GST on Hostel)।
অতীতে হোস্টেল কিংবা পিজি গুলোকে ধরা হতো কোনো ব্যক্তির বাসস্থান হিসেবে। কিন্তু বেঙ্গালুরুর এএআর বেঞ্চের দাবি অনুযায়ী, পিজি বা হস্টেলগুলিকে নির্দিষ্ট কারণেই ব্যক্তি বিশেষের বাসস্থান হিসেবে ধরা যাবে না। জিএসটি সংক্রান্ত দু’টি পৃথক মামলার ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি হস্টেল কিংবা পিজির ভাড়া কোনোভাবেই জিএসটি ছাড়ের যোগ্য নয় (GST on Hostel)।
এই বিষয়ে আরো জানানো হয়েছে যে, একমাত্র আবাসিক বাসস্থানের ভাড়াই হবে জিএসটি ছাড়ের যোগ্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের ১৮ জুলাই থেকে ১০০০ টাকা যেসব হোটেলের, ইন বা গেস্ট হাউসের দৈনিক ভাড়া ছিল তাদের ক্ষেত্রে জিএসটি-তে ছাড় তুলে দেওয়া হয়েছিল। এএআর যে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অনুযায়ী, হস্টেল ভাড়ার ক্ষেত্রেও ১২ শতাংশ জিএসটি ধার্য হল (GST on Hostel)।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভারতের বেঙ্গালুরুর মত বিভিন্ন শহরে অসংখ্য পড়ুয়ারা হস্টেল কিংবা পিজিতে থাকে শুধুমাত্র পড়াশোনা করার জন্য। কর্ণাটক এএআর বেঞ্চের নয়া সিদ্ধান্তে রীতিমতোই তারা অস্বস্তিতে পড়বে। আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি ভাড়া গুনতে হবে বাইরে পড়তে আসা এইসব ছাত্র-ছাত্রীদের। এর সাথে তাল মিলিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত খরচই বৃদ্ধি পাবে।