বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বিজেপির গান্ধী সংকল্প পদযাত্রা দুবরাজপুরে

লাল্টু : কেন্দ্র বিজেপির নির্দেশে গত ১৫ই অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গান্ধী সংকল্প যাত্রা। পশ্চিমবঙ্গে নানান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কারণে একটু দেরিতে শুরু হয় এই পদযাত্রা। আজ বীরভূমের বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের দুবরাজপুরে এই পদযাত্রার শুরু। এদিন দুবরাজপুরের বিজেপির দলীয় অফিস থেকে পদযাত্রা শুরু হয় বীরভূম জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের হাত ধরে। বৃষ্টির কারণে পদযাত্রায় কাটছাঁট করে তা পৌঁছে যাবে পন্ডিতপুর কালী মন্দির পর্যন্ত।

বীরভূমে প্রথম গান্ধী সংকল্প পদযাত্রা শুরু হয় নলহাটির খ্যাপা কালী মন্দির থেকে। সেদিন গান্ধী সংকল্প পদযাত্রা শুরু করে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল তৃণমূল এবং পুলিশকে আক্রমণ করে বলেন, “আমরা এই সংকল্প পদযাত্রার মাধ্যমে বার্তা দিতে চাইবো, তৃণমূল সরকার রাজ্যে যেভাবে সন্ত্রাসের বাতাবরণ কায়েম করতে চেয়েছে, তা বন্ধ করতে ভারতীয় জনতা পার্টি সচেষ্ট আছে।”

পাশাপাশি তিনি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “বীরভূম জেলা পুলিশকেও আমরা নিরপেক্ষ হওয়ার বার্তা যেতে চাই। পুলিশ যেন নিরপেক্ষ হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে। পুলিশ প্রশাসন যেন কোনো ব্যক্তি বা দলের পরিচিতি না পাই।”

আর আজ এই পদযাত্রা নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় জানান, “রাজ্যে যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তা বন্ধ করতে মোদীজি গান্ধীজীর সেই আদর্শকে সঙ্গে নিয়ে এই গান্ধী সংকল্প পদযাত্রার মাধ্যমে স্বচ্ছতা প্রকল্পকে তুলে ধরার আহ্বানের লক্ষ্যে পদযাত্রা।”

প্রসঙ্গত,নিম্নচাপের জেরে গত রাত থেকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।আজ সেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই দুবরাজপুর শহরে গান্ধী সংকল্প পদযাত্রায় পা মেলান বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, দুবরাজপুর শহর বিজেপি সভাপতি সন্দীপ আগরওয়াল, বিজেপির ব্লক সভাপতি পবিত্র চক্রবর্তী সহ অন্যান্য দলীয় কর্মীরা।