নিজস্ব প্রতিবেদন : একটি রিসার্চ রিপোর্ট গৌতম আদানীর (Gautam Adani) রাজত্বে ধস এনেছিল। সেই রিপোর্ট হল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research) রিপোর্ট। তবে এই রিপোর্টকে প্রথম থেকেই আদানি গোষ্ঠীর তরফ থেকে মিথ্যা বলে দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু মিথ্যা বলে দাবি করা হলেও এমন রিপোর্টের কারণে বিশ্ব ধনী তালিকা থেকে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছিল গৌতম আদানিকে। তবে সেই সকল পরিস্থিতি এখন কাটিয়ে ফের একবার নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করছেন আদানি।
গৌতম আদানি ধীরে ধীরে তার রাজত্ব ফিরে পাচ্ছেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে আবার একইভাবে ধনী তালিকায় ধাপে ধাপে নিজের স্থান ফিরে পাচ্ছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বিশ্ব ধন কুবেরদের তালিকায় প্রথম ৫০ জনের আসনে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে শুক্রবার শেয়ার বাজার মার্কেটে আদানি গোষ্ঠীর সেই রকম চমকপ্রদ ফলাফল না থাকলেও তারাই বাজি মেরেছেন। গৌতম আদানি এশিয়ার অন্যতম ধনকুবের ঝং শানশানকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি।
গৌতম আদানি ধাপে ধাপে নিজের ব্যবসা সামলে নিলেও শুক্রবারের শেয়ার মার্কেট রিপোর্ট অনুযায়ী কিন্তু তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে। তবে সম্পত্তির পরিমাণ কমলেও তিনি এশিয়ার দ্বিতীয় ধনকুবের হয়েছেন মূলত চীনা ব্যবসায়ী ঝং শানশানের সম্পত্তি অনেকটাই হ্রাস পাওয়ায়। শুক্রবার চিনা ওই ব্যবসায়ীর সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে ১.২০ বিলিয়ন ডলার।
চিনা ব্যবসায়ী ঝং শানশানের সম্পত্তি এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাওয়ার সুযোগেই এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে গৌতম আদানির নাম তালিকায় উঠে এসেছে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী গৌতম আদানীর বর্তমানে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৩.৯০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে সম্পত্তি কমে যাওয়ার পর এখন ঝং শানশানের সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩.৫০ বিলিয়ন ডলার।
গৌতম আদানি ২০২২ সালে ধনকুবের দের তালিকায় বিশ্বে চতুর্থ স্থান টপকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩ সালেই তার সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। সেই পতন শুরু হতেই শেষ পর্যন্ত তাকে ধনকুবের দের তালিকায় প্রথম ৩০ থেকেও ছিটকে যেতে দেখা যায়। যদিও পরবর্তীতে অনেক সামলে এখন ২৫ নম্বরে জায়গা পেয়েছেন।