Vande Bharat Sleeper: থাকবে গিজার, মিলবে গরম জল, পাত্তা পাবে না রাজধানী এক্সপ্রেসও! বড় পরিকল্পনা বন্দে ভারত স্লিপারে

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতবর্ষে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি লোকাল, এক্সপ্রেস, মেল ইত্যাদি ট্রেন চললেও সেই সকল ট্রেনের মধ্যে রাজধানী এক্সপ্রেসকে ফাইভস্টার ট্র্রেন বলা হয়। রাজধানী এক্সপ্রেসে সফর করা মানে সেই সকল যাত্রীরা অন্যান্য ট্রেনের যাত্রীদের থেকে যেন আলাদা হয়ে যান। তাদের স্ট্যাটাস অনেক বেড়ে যায়। তবে এবার বন্দে ভারত স্লিপারে (Vande Bharat Sleeper) যা যা সুবিধা দিতে চলেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways) তাতে রাজধানী এক্সপ্রেসের মত ট্রেনও পাত্তা পাবে না।

দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারতীয় রেল ইতিমধ্যেই ভারতবাসীদের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উপহার দিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এই ট্রেনের স্লিপার ভার্সন আসেনি। যদিও রেল আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত স্লিপার তৈরির কাজ এখন প্রায় শেষের দিকে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো ফেব্রুয়ারি শেষ অথবা মার্চের শুরুতেই এই ট্রেনের সূচনা হয়ে যেতে পারে।

বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন মূলত ৫০০ কিলোমিটারের উপরে থাকা গন্তব্যের জন্য চালু করা হবে। এই ট্রেনে যে সকল সুবিধা দেওয়া হবে তা দেশের অন্য কোন ট্রেনে থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তাতে, বন্দে ভারত স্লিপারে ঝাঁ চকচকে টয়লেটে থাকবে গরম জলের শাওয়ার। এই ব্যবস্থা থাকার ফলে ট্রেনেই ফ্রেশ হয়ে ফার্স্ট ক্লাসের যাত্রীরা নিজেদের গন্তব্যের দিকে রওনা দিতে পারবেন।

আরও পড়ুন ? Vande Bharat Sleeper Latest Update: রাজধানী এক্সপ্রেস অতীত, এবার দু’ঘন্টা আগেই গন্তব্যের স্টেশন আসছে বন্দে ভারতের নতুন ভার্সন

এর পাশাপাশি বন্দে ভারত স্লিপারের শোয়ার জায়গা অর্থাৎ বার্থগুলি যেভাবে সাজানো হয়েছে এবং তাতে যে ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেই ক্ষেত্রেও রাজধানী এক্সপ্রেসের মত ট্রেন অনেক পিছনে পড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গতিবেগের দিক দিয়েও বন্দে ভারত স্লিপার ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে সক্ষম। সব ঠিক মিলিয়ে বলা যেতে পারে বন্দে ভারত স্লিপারের আগমনে আমূল বদল আসবে গোটা দেশের পরিবহন ব্যবস্থায়।

বন্দে ভারত স্লিপারে মোট ১৬ টি কোচ থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। এই ১৬টি কোচের মধ্যে ১১ টি হবে এসি থ্রি টায়ার, ৪টি হবে এসি টু টায়ার এবং একটি হবে এসি ফার্স্ট ক্লাস। বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনে সর্বাধিক ৮২৩ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। এই ট্রেনের কুশন ব্যবস্থা রাজধানী এক্সপ্রেসের থেকে অনেক উন্নত এবং এমনভাবে স্প্রিংয়ের ব্যবহার করা হয়েছে যাতে করে যাত্রীদের ঝাঁকুনি লাগবে না বললেই চলে। এর পাশাপাশি রেকের কমন এরিয়ায় সেন্সর যুক্ত আলো থাকবে। যে কারণে যখন আলোর দরকার হবে তখনই তা জ্বলবে এবং যখন দরকার হবে না তখন তারা নিজে থেকেই নিভে যাবে। এর পাশাপাশি অন্ধকারে যাতে যাত্রীদের অসুবিধা না হয় তার জন্য মেঝেয় আলোর স্ট্রাইপ দেওয়া থাকবে। অন্যদিকে টয়লেটে গরম জলের শাওয়ার থাকার পাশাপাশি বিশেষ ডিজাইন করা বেসিন থাকবে। যে বেসিন থেকে কোনভাবেই জল ছিটে আসবে না কারো গায়ে।