নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্ষার (Monsoon) মরশুম মৎস্যজীবীদের জন্য নদ-নদীতে মাছ ধরার ব্যান পিরিয়ড উঠে যায়। এই ব্যান পিরিয়ড উঠতেই বিভিন্ন জেলার মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে নদনদী সমুদ্রে পাড়ি দেন। আর এরপরই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসছে বড় বড় মাছ। কোথাও কোথাও আবার উঠে আসছে বিরল মাছ। এই সকল মাছ বিক্রি করে রাতারাতি মালামাল হতে দেখা যাচ্ছে মৎস্যজীবীদের (Fisherman)।
বিভিন্ন নদনদী অথবা সমুদ্র থেকে বড় বড় এবং বিরল প্রজাতির মাছ ওঠার পাশাপাশি এবার এমন এক মাছ এক মৎস্যজীবীর জালে উঠতে দেখা গেল যার রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে। কেনই বা হইচই ফেলবে না। কেননা এই একটি মাছের ওজনই ৮৬ কিলো আর দামও উঠল সেই রকম। বিশালাকৃতির এই মাছটি জালে উঠে মৎস্যজীবীর ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছে।
৮৬ কেজি ওজনের বিশালাকৃতির এই মাছটি দেখা যায় মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দাসপাড়ার পীর সাহেব মোড় মাছ বাজারে। মৎস্য ব্যবসায়ী মেরাজুল ইসলাম বিশাল মাপের ওই বাঘার মাছটি নিয়ে হাজির হন মাছ বাজারে। বিশালাকৃতির ওই মাছটি বাজারে নিয়ে যেতেই সেখানে উপস্থিত আমজনতার মধ্যে হইচই তৈরি হয়। মাছ দেখতেই ভিড় জমাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষেরা।
বাজারে এত বড় মাছ দেখার পর আমজনতার প্রত্যেকের মুখ থেকেই একটি কথা শোনা যায়, এত বড় মাছ তারা জীবনে কোনদিন দেখেননি। যে মৎস্য জীবের জালে এমন মাছটি ওঠে তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের মাছ এর আগেও তাদের বিভিন্ন মৎস্যজীবীর জালে উঠেছে এবং তারা সেগুলি বাজারে এনে বিক্রি করেছেন। তবে সেই সকল মাছ এত বড় ছিল না। এবার যে মাছটি উঠেছে সেটি সবচেয়ে বড়।
এই মাছ কত টাকা কিলো দরে বিক্রি করবেন তা জিজ্ঞেস করা হলে মৎস্যজীবী মেরাজুল ইসলাম জানান, প্রথম থেকেই তার ইচ্ছে ছিল মাছটি ৫০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করার। তবে সাড়ে চারশ টাকা পর্যন্ত পেলেই তিনি তা বিক্রি করে দেবেন। যদি ওই মৎস্যজীবীর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী ৪৫০ টাকা কিলো দর পাওয়া যায় তাহলে মাছটির দাম দাঁড়ায় ৩৮৭০০ টাকা। খুব কম সময়ই মৎস্যজীবীদের এইভাবে লক্ষ্মী লাভ করতে দেখা যায়।