নিজস্ব প্রতিবেদন : যাতায়াতের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ ট্রেনের (Train) উপর নির্ভরশীল আর ট্রেনের উপর নির্ভর করেই বড় সংখ্যার মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। রেলের উপর এই নির্ভরশীলতার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেল (Indian Railways) প্রতিনিয়ত রেল পরিষেকাকে আরও সাজিয়ে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে, চেষ্টা চলছে আরও দ্রুত যাতে করে যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যায়।
সেরকমই এবার ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এমন এক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে যাতে শিলিগুড়ি গ্রামীণ ট্রেনগুলি দ্রুত কলকাতা সহ অন্যান্য জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে। ভারতীয় রেলের এই উদ্যোগ ট্রেনগুলিকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সময় যাতে কম লাগে তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
মূলত এই ব্যবস্থা আনা হচ্ছে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু করার পরিপ্রেক্ষিতে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আর কিছুদিনের মধ্যেই ব্রডগেজ লাইনের উপর দিয়ে ছুটবে ইলেকট্রিক ট্রেন। ইলেকট্রিক ট্রেন চালানোর জন্য বৈদ্যুতিকরণের কাজ মোটামুটি দু’বছর আগে শুরু হয় রাধিকাপুর বারসই লাইনে। এখন সেই কাজ প্রায় শেষের দিকে এবং খুব তাড়াতাড়ি ইলেকট্রিক ট্রেন চলবে এই সকল রুটে।
বারসই-রাধিকাপুর রেললাইন ২০০৬ সালে ব্রডগেজ লাইনে পরিণত হয়। ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে এই লাইনের উপর দিয়ে ভারতের হয়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশ পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াত করে। জানা যাচ্ছে সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর খুব তাড়াতাড়ি এই লাইনের উপর দিয়ে ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন চলাচল করবে। এর ফলে জ্বালানি যেমন বাঁচবে ঠিক সেই রকমই সময় বাঁচবে অনেকটাই।
এর পাশাপাশি এই লাইনে ইলেকট্রিক ট্রেন চলাচল শুরু করলে কলকাতা শিলিগুড়ি গ্রামীণ ট্রেনগুলি অনেক দ্রুততার সঙ্গে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছাতে পারবে। কেননা ইলেকট্রিক লাইন চালু হলে এই সকল ট্রেনগুলিকে আর ইঞ্জিন পরিবর্তন করার জন্য সময় নষ্ট করতে হবে না। রেলের এই উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে খুশি সাধারণ মানুষ।