নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূল সরকারের আসার পর পশ্চিমবঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) নামে নতুন একটি পদ তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তৈরি নতুন এই পদে বর্তমানে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার সিভিক ভলেন্টিয়ার কর্মরত। এই বিপুলসংখ্যক সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য একটি সুখবর আসতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি বলেই সূত্রের খবর। যে সুখবর আসতে চলেছে তা সিভিক ভলেন্টিয়াররাও বিশ্বাস করতে পারবেন না।
একসময় দশম ও দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণরা সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ বেছে নিতেন। তবে পরবর্তীতে দেখা গেছে, অন্যান্য পেশায় চাকরির সুযোগ না থাকার কারণে উচ্চ শিক্ষিত অনেক বেকার যুবক যুবতীরা সিভিক ভলেন্টিয়ারে নাম লিখিয়েছেন। গত কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকার এই সকল সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ১০০০ টাকা করে ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করে এবং তাদের পুলিশে চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ বৃদ্ধি ঘোষণা করে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের এই সকল সুখবর দেওয়ার পাশাপাশি এবার তাদের সরাসরি জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিয়োগের (Civic Volunteer’s Promotion) বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশে কনস্টেবলের সংখ্যা অনেক কম। রাজ্যের অধিকাংশ থানাতেই ১৫ থেকে ২০ জন করে কনস্টেবল রয়েছেন। এদিকে সামনেই যখন লোকসভা নির্বাচন তখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি চিন্তা বাড়াচ্ছে এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকার এমন উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে উদ্যত হচ্ছে। এর ফলে ভোটের আগে যেমন নিচু তলার পুলিশ কর্মীদের অভাব দূর হবে ঠিক সেই রকমই আবার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পদোন্নতি হবে। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হলে তাদেরও দীর্ঘদিনের বেশ কিছু দাবী দাওয়া পূরণ হবে। কেননা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যারা জুনিয়র কনস্টেবল হবেন তাদের চাকরি স্থায়ী হবে, তাদের বেতন বৃদ্ধি পাবে।
তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও বেশ কিছু সমস্যাও রয়েছে। যেমন বেশিরভাগ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বয়স এখন ৩০ বছর পার হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও কনস্টেবল হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যে উচ্চতার প্রয়োজন হয় তা নিয়েও একটি সমস্যা তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ করার সময় আলাদা করে ট্রেনিং দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে আলাদা করে ট্রেনিং দিতে হবে। অন্যদিকে বিরোধীদের তরফ থেকেও এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচন সিভিকদের দিয়ে করানোর জন্যই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।