রেডি রাখুন কাগজপত্র, ফেরৎ মিলবে রোজভ্যালির চিট হওয়া টাকা, কবে জানুন

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : কম সময়ে বেশি সুদের লোভে বহু মানুষকেই দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থায় বিনিয়োগ করতে। ভারতের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বাংলার বুকেও এইরকম অনেক চিটফান্ড সংস্থা গজিয়ে উঠেছিল। সেইসব সংস্থার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি সংস্থা ছিল রোজভ্যালি (Rose Valley)। এই সংস্থায় আমানতকারীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লক্ষ। যাদের কষ্টার্জিত সঞ্চয় নিয়ে আজও চলছে টানাটানি।

Advertisements

রোজ ভ্যালি সংস্থায় যারা টাকা রেখে আর টাকা ফেরত পাননি তাদের জন্য এবার একটি সুখবর রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ করে টাকা ফেরত না পাওয়া এই সকল বিনিয়োগকারীরা টাকা ফেরত পেতে চলেছেন বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। ইতিমধ্যেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে এবং সেই ওয়েবসাইটে বিনিয়োগকারীদের যথোপযুক্ত নথিপত্র আপডেট করে টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করতে হবে।

Advertisements

রোজভ্যালি সহ এই ধরনের যে সকল চিটফান্ড সংস্থাগুলি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল সেই সব সংস্থায় সবচেয়ে বেশি টাকা রেখেছিলেন দুঃস্থ দরিদ্র মানুষেরা। এই সকল মানুষদের কাছে ১০০০, ৫০০০ টাকাও অনেক বেশি। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যে সকল বিনিয়োগকারীদের টাকা পাঁচ হাজার টাকার কম ছিল তাদের প্রথম ফেরত দেওয়া হবে এবং তারপর ধাপে ধাপে বাকিদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই টাকা ফেরত দেওয়ার এই কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বোলপুরে নতুন চিটফান্ডের হদিস

আদালতের নির্দেশের পর ওয়েবসাইট তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যে ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হচ্ছে সেখানে টাকা জমা দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব নথি আপলোড করতে হবে বলেও সূত্রের খবর। সুতরাং যারা টাকা জমা রেখেছিলেন এবং ফেরত পাননি তাদের সমস্ত কাগজপত্র তৈরি রাখতে হবে। কেননা যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই ওয়েবসাইট তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরেই আবেদন গ্রহণ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রোজ ভ্যালি চিটফান্ড সংস্থায় মোট আমানতের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে এই সংস্থার লভ্যাংশ থেকে শুরু করে সমস্ত সম্পত্তি বিশেষ তত্ত্বাবধানে রয়েছে। জানা যাচ্ছে, রোজভ্যালির এই মুহূর্তে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা নগদ রয়েছে, আর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তোলা হয়েছে প্রায় ২১০০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে অন্ততপক্ষে ৬০ লক্ষ বিনিয়োগকারীর মুখে হাসি ফুটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisements