নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলায় খুব প্রচলিত একটি প্রবাদ রয়েছে আর সেই প্রবাদটি হল, ‘ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।’ এই প্রবাদকে ঘুরিয়ে বলা যেতে পারে, ঠ্যালায় পড়লে তবেই বিড়াল গাছে ওঠে। ঠিক এমনটাই হতে দেখা গেল এবার হাওড়ায় অ্যাপ ক্যাবের ভাড়ায় (Howrah App Cab New Fare)। আর এর ফলে এখন যাত্রীরা অনেক বেশি উপকৃত হচ্ছেন।
আসলে হাওড়া ময়দান থেকে এস্প্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়ার পর হাওড়ায় নামা যাত্রীদের বড় সংখ্যার যাত্রীরা সাধারণ যানবাহনের পরিবর্তে মেট্রোয় চড়ে তিলোত্তমায় প্রবেশ করছেন। মেট্রো চালু হওয়ার পর থেকেই দেখা গিয়েছে রীতিমত মাথায় হাত পড়েছে অ্যাপ ক্যাব চালক থেকে শুরু করে অন্যান্য যানবাহনের চালক ও মালিকদের। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া ধপাস করে পড়ে গেল।
হাওড়া ময়দান থেকে মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়ার আগে এবং পরে অ্যাপ ক্যাবের ভাড়ায় আকাশ পাতাল ফারাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন হাওড়া থেকে বিভিন্ন জায়গা যাওয়ার ক্ষেত্রে আগে যে ভাড়া পড়তো তার থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম ভাড়া পড়ছে। অ্যাপ ক্যাবের চালকরা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, আর আগের দিন ফিরে আসবে না। বরং ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের সমস্ত লাইনে পুরোদমে মেট্রো চালু হয়ে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা এখন নতুন পরিকল্পনায় পথ হাঁটছেন।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী যে সকল রুটে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে সেই সকল রুটগুলিতে ভাড়া কমিয়ে যতটা সম্ভব বেশি পরিমাণে যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে যে সকল জায়গাগুলি মেট্রো পরিষেবার সঙ্গে সংযুক্ত হয়নি সেইগুলিকে টার্গেট করা হচ্ছে অর্থাৎ ওই সকল রুটে যাত্রীদের কানমূলে ভাড়া নেওয়ার টার্গেট নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে যে সকল রুটে মেট্রো পরিসেবা রয়েছে সেই সকল রুটে এখন অ্যাপ ক্যাব বুকিং করার সময় ব্যাপক ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
অ্যাপ ক্যাব চালকদের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, হাওড়ায় আসা যে সকল যাত্রীদের কাছে একটি দুটি ব্যাগ রয়েছে তারা আর এখন অ্যাপ ক্যাবের উপর নির্ভর করছেন না। তারা এখন সরাসরি ছুটে যাচ্ছেন মেট্রো স্টেশনের দিকে আর সেখান থেকে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছেন। কেবলমাত্র সেই সকল যাত্রীরা অ্যাপ ক্যাবের উপর নির্ভর করছেন যাদের কাছে প্রচুর লাগেজ রয়েছে।