নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গত কয়েক বছরে নতুন নতুন পঞ্চাশের কাছাকাছি প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছে। এইসব প্রকল্প রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য। কোন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের বাসিন্দাদের নগদ টাকা দেওয়া হয়, আবার কোন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের দেখভাল করা হয়। আবার কোন কোন প্রকল্প রাজ্যের বাসিন্দাদের জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য পথ দেখিয়ে থাকে। তবে এই সমস্ত প্রকল্পের মধ্যে এবার একটি প্রকল্পে নজির গড়ল মমতা সরকার (Mamata Government)।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে সকল প্রকল্প চালু করা হয়েছে, সেইসব প্রকল্পের মধ্যে একটি প্রকল্প রয়েছে, যার নাম রূপশ্রী প্রকল্প (Rupashree Scheme)। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকার রাজ্যের বাসিন্দাদের মেয়েদের বিয়ের খরচের টাকা দেওয়া হয়। মেয়েদের বিয়ের আগে বিয়ের কার্ড দেখিয়ে আবেদন করা যায় এবং সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এককালীন ২৫০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পেই এবার নজির গড়ল সরকার। আবেদনের মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আবেদনকারী পেয়ে গেলেন ২৫ হাজার টাকার চেক। বহু ক্ষেত্রেই এই প্রকল্পের আওতায় টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে নানান ধরনের অভিযোগ রয়েছে। সেই সকল অভিযোগের মধ্যে অন্যতম হলো টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হওয়া, যোগ্য আবেদনকারী হয়েও টাকা না পাওয়া। তবে এসবের মধ্যে এবার কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রাপ্য টাকা তুলে দেওয়ার নজির রাজ্যে প্রথম।
আবেদন করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রাপ্য টাকা পাওয়ার এমন ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বারাসাত এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের উলা এলাকায়। গত সোমবার ওই এলাকার সামিরা খাতুন নিকটবর্তী দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করেন। আবেদনের দিন অর্থাৎ সোমবারই ছিল তার বিয়ে। আবেদনের দিনই বিয়ে, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসতেই তারা তড়িঘড়ি আবেদনের কাগজপত্র স্ক্রুটিনি করে দেখে নেন।
কাগজপত্র সব ঠিকঠাক দেখে নেওয়ার পর ওই দিন বিয়ের আগেই প্রকল্পের চেক নিয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত হন ওই আবেদনকারীর বাড়িতে। সেখানেই তার হাতে ২৫ হাজার টাকার আবেদনের চেক তুলে দেওয়া হয়। সকালে আবেদন রাতে টাকা, এমন নজির এর আগে কোনদিন এই প্রকল্পে দেখা যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। স্বাভাবিকভাবেই আবেদনকারীরা যেমন খুশি ঠিক সেইরকমই প্রশাসনিক আধিকারিকরাও সঠিক সময়ে উপভোক্তার হাতে টাকা তুলে দিতে পেরেও খুশি।