নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের যে সকল পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো দার্জিলিং (Darjeeling)। শীত হোক অথবা বর্ষা, সব সময়ই প্রতিদিন দার্জিলিঙে দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটকদের ভিড় জমাতে দেখা যায়। তবে এবার যারা দার্জিলিং যাওয়ার কথা ভাবছেন তাদের একটি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। কেননা ওই সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
দার্জিলিঙে যে সকল আকর্ষণীয় জিনিস রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো টয় ট্রেন। টয় ট্রেনের এমন জনপ্রিয়তার পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন জায়গায় যেগুলিতে পর্যটকরা ঘুরতে যান। এসবের মধ্যেই রয়েছে টাইগার হিল। যে টাইগার হিলে প্রতিদিনই দূর দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকরা সূর্যোদয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য লাফিয়ে লাফিয়ে ভিড় জমান।
আবার এই জায়গার দিলে যাতে পর্যটকরা একেবারে আরাম করে সূর্যোদয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পান তার জন্য একটি প্যাভিলিয়ন তৈরি করা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই প্যাভিলিয়ন ৯ বছর আগে তৈরি করা শুরু হলেও এখনো সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। আর এই অর্ধ নির্মিত প্যাভিলিয়নের (Darjeeling Pavilion Closed) সিঁড়িই এবার বন্ধ করে দেওয়া হল। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এর ফলে আর ওই প্যাভিলিয়নে উঠে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে না।
আরও পড়ুন ? Palmajua: অনেক হলো ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং, এবার ঘুরে দেখুন স্বপ্নের সুন্দরী গ্রাম, মন জুড়িয়ে যাবে
তবে এই প্যাভিলিয়ন নয় বছর আগে তৈরি করার কাজ শুরু হলেও কেন তার মাঝ রাস্তায় গিয়ে থমকে গেল অথবা আর তা সম্পূর্ণ করা হলো না এর উত্তর কিন্তু কারো কাছে নেই। এমনকি গাড়িচালকদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, জিটিএ-র আগ্রহ নিয়েও। এক সময় এই প্যাভিলিয়ন ছিল কাঠের। তবে তা ভেঙ্গে কংক্রিটের তৈরি করার কাজ শুরু করেছিলেন জিপিএ চিফ বিমল গুরুং। সেই সময়ই সিঞ্চল অভয়ারণ্যের ভিতর এমন নির্মাণ নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছিল। পাশাপাশি ঠিকাদারদের সঙ্গে জিটিএ কর্তৃপক্ষের বনিবনা না হওয়ার কারণে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে এই ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েও ছিল। অন্যদিকে পরবর্তীতে বর্তমান জিটিএ প্রধান অনিত থাপা বিষয়টির মিটমাট করে পুনরায় কাজ শুরু করলেও তা আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এখন এই প্যাভিলিয়নের সিঁড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মূলত গত ডিসেম্বর মাসের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। যে সময় অর্ধ নির্মিত ওই প্যাভিলিয়নে ওঠে সূর্যোদয় দেখতে গিয়ে কয়েকজন পর্যটক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন। যে দুর্ঘটনায় বড় কিছু ক্ষতি না হলেও স্থানীয় গাড়ি চালকরা এবং বনদপ্তর বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেন। এরপরই ওই প্যাভিলিয়নে ওঠার সিঁড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়।