Mid Day Meal: প্রধান শিক্ষকদের পকেট থেকে কাটা হবে মিড ডে মিলের টাকা, চিঠি দিলেন তাপস পাল

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়ম মত কাজ না করার কারণে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) টাকা এবার কাটা হবে প্রধান শিক্ষকদের বেতন থেকে। এক দু’দিনের মিড ডে মিলের টাকা নয়, পুরো সারা মাসের টাকা দিতে হবে প্রধান শিক্ষকদের। এমনই নির্দেশিকায় রীতিমতো আশঙ্কায় প্রধান শিক্ষকরা। যা নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

Advertisements

মিড ডে মিল ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে পড়ুয়াদের পাতে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই মিড ডে মিল ব্যবস্থা যাতে ঠিকভাবে চলে তার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম জারি করেছে সরকার। সেই নিয়ম অমান্য করলেই বিভিন্ন সময় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে। ঠিক সেই রকমই এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হল মালদার ২০টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

Advertisements

সারা মাসে কত পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিল রান্না করা হয়েছে, সেই মিড ডে মিলের জন্য কত টাকা খরচ হয়েছে ইত্যাদি সমস্ত রকম হিসেব-নিকেশ ৯ আগস্টের মধ্যে মাসিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এমন নিয়ম থাকলেও সঠিক সময়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে মালদার ওই ২০টি প্রধান শিক্ষককে সারা মাসের মিড ডে মিলের টাকা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিডিও।

Advertisements

আরও পড়ুন : Ration ATM: আর লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করার দরকার নেই, রেশন কার্ড ঢুকালেই চাল দেবে ATM

এমন ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশচন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লকে। জানা গিয়েছে, ৯ আগস্টের মধ্যে মিড ডে মিলের খরচের হিসেব-নিকেশ বিডিও অফিসে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা পড়েনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিডিও অফিসের তরফ থেকে ওই সকল স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের এমন চিঠি দেওয়া হয়েছে। এমন চিঠির বিষয়ে স্বীকার করেছেন হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও তাপস পাল।

ওই ব্লকের বিডিও তাপস পাল জানিয়েছেন, যেহেতু ওই স্কুলগুলির তরফ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে গত মাসের মিড ডে মিলের হিসেব-নিকেশ জমা দেওয়া হয়নি তাই তাদের জন্য টাকা বরাদ্দ করা সম্ভব হচ্ছে না। টাকা বরাদ্দ করা সম্ভব না হওয়ার চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সকল স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিজের বেতন থেকে টাকা মেটাতে হবে। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে মিড ডে মিল নিয়ে খুব সচেতন থাকতে হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের মেসেজ ফোন করা হলেও তারা আজ-কাল করে এড়িয়ে গিয়েছেন।

Advertisements