Advertisements

শিবসেনার পর বাংলায় JMM, কত আসনের প্রার্থী দেবেন জানালেন হেমন্ত সোরেন

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে এখনো বেশ কয়েকটা মাস বাকি থাকলেও ইতিমধ্যেই নতুন নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই নতুন দল তৈরি করে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী একাধিক আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। একইভাবে বাংলায় পা দিয়েছেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। আবার শিবসেনা আসন্ন বাংলার নির্বাচনে প্রার্থী দেবেন এটাও ঘোষণা করেছে। আর এবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা অর্থাৎ JMM। তারাও এবার প্রার্থী দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন।

Advertisements

Advertisements

ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসে ঘোষণা করলেন আদিবাসী অধ্যুষিত বাংলার বিভিন্ন কেন্দ্রে অন্ততপক্ষে ৪০টি প্রার্থী দেওয়ার। হেমন্ত সোরেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলেও এদিনের সভায় থেকে পরোক্ষভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপও দেগেছেন তিনি। পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণাতে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Advertisements

এদিন ঝাড়গ্রামের জামদা সার্কাস ময়দানের জনসভা থেকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (JMM) সভাপতি তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলার আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে JMM লড়াই করবে। আদিবাসীদের এখন চাক্কিতে পেষা হচ্ছে। নতুন নতুন আইন তৈরি হচ্ছে। আমি বারবার এই বাংলায় আসবো। আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার জন্য সংবিধানে উল্লিখিত পঞ্চম তফসিল তৈরি করতে হবে, এই এলাকায় আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য আলাদা কেন্দ্রীয় পর্ষদ গড়তে হবে।”

আর হেমন্ত সোরেনের ভোটের আগে এহেন ঘোষণায় মোটেই খুশি নন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরাতন বন্ধুর এমন ঘোষণা নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, “আমার খারাপ লেগেছে। যখন তোমার পাশে কেউ ছিল না তখন আমি ছিলাম। তোমার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পাশাপাশি পূর্ণ সমর্থন করেছি। এখন তুমি বাংলায় ভোট চাইতে আসছো! আমি কি ঝাড়খন্ডে গিয়ে বাঙালি ভোট চাইতে যাই? আগে ঝাড়খন্ড সামলাও।”

Advertisements