নিজস্ব প্রতিবেদন : সোশ্যাল মিডিয়ার সেন্সেশন হিসাবে যারা পরিচিত তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাংলাদেশের হিরো আলম (Hero Alom)। এই মানুষটি যত না ট্যালেন্টের জন্য পরিচিত, তার থেকেও বেশি তিনি পরিচিত বিতর্কের জন্য। তিনি যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে পরিবেশন করে থাকেন তাতে প্রতিনিয়ত তৈরি হয় নানান বিতর্ক। তবে এই সকল বিতর্ককে কোনভাবেই আমল না দিয়ে নিজের মতোই কাজ করে যান তিনি।
বিতর্ককে আমল না দিয়ে নিজের মত কাজ করে যাওয়া আর প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভাবে নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিবেশন করে এখন তিনি হিরো হয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি রাজনীতির আঙিনাতেও তিনি পা দিয়েছেন। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন এলেই তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায়। তবে সেই সকল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বারবার হোঁচট খেলেও তিনি থামেন না। এমন একজন সেলিব্রেটির আর্থিক অবস্থা নিয়ে অনেকের মধ্যেই আকাশচুম্বী চিন্তাভাবনা থাকতে পারে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন সবই লবডঙ্কা।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই ষ্টার হিরো আলমের সম্পত্তির পরিমাণ যা, তা শুনলে আপনিও লজ্জা পাবেন। বারবার ভাববেন সত্যিই কি এত কম টাকার মালিক হিরো আলম! সত্যিই কি youtube, facebook সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এত ভিডিও বানিয়েও সামান্য এইটুকু টাকা রোজগার করেন? সত্যিই তাই, অন্ততপক্ষে হিরো আলম নিজের সম্পত্তি এবং রোজগারের বিষয়ে যে হলফনামা পেশ করেছেন তাতে এমনটাই প্রমাণিত।
এবার হিরো আলম বাংলাদেশের বগুড়া ৪ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে চেয়েছিলেন। তবে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারলেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি যে হলফনামা পেশ করেছেন সেই হলফনামা থেকে তার বার্ষিক আয় এবং সম্পত্তির পরিমাণ উঠে এসেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক হিরো আলমের বার্ষিক আয় এবং সম্পত্তির পরিমাণ।
আরও পড়ুন ? এআর রহমনের উপর হিরো আলমের বড় বদলা! পিণ্ডি চটকে দিলেন জয় হো গানের
আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়ার এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার পড়াশুনা মোটে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত। ইউটিউব থেকে যে টাকা রোজগার করে থাকেন তার পরিমাণ হলো বার্ষিক ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। তার যে সকল কৃষি জমি রয়েছে সেই সকল কৃষি জমি থেকে বছরে রোজগার হয় মাত্র ৬০০০ টাকা। অন্যদিকে মিডিয়া ব্যবসা থেকে তিনি বছরে রোজগার করে থাকেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা।
হলফনামা থেকে জানা গিয়েছে, হিরো আলমের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৩০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ১০ ভরি সোনা। তবে সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে রীতিমতো অন্যদের ১০ গোল দিয়েছেন হিরো আলম। তার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৫৫ লক্ষ টাকার। অন্যদিকে গত ১১ মাসে তার মিডিয়া ব্যবসায় উন্নতি হয়েছে। আগের তুলনায় তিনি ২২ হাজার টাকা বেশি রোজগার করতে শুরু করেছেন। এক সময় কেবলের ব্যবসা করা হিরো আলমের নামে কোন ঋণ নেই। অন্যদিকে আগেরবার নির্বাচনে যখন তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তখন তার নামে একটি গাড়ি ছিল বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু এবারের হলফনামায় সেই উল্লেখ নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি হিরো আলম তার গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন? নাকি অন্য কারো নামে তা স্থানান্তরিত করেছেন।