৮৭ হাজার পরীক্ষার্থী ফেল! উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া ফলাফল

নিজস্ব প্রতিবেদন : বুধবার প্রকাশিত হলো ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল (HS Result)। এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল (Higher secondary Exam) প্রকাশ করা হলো ৫৭ দিনের মাথায়। পরীক্ষার ফলাফলের নিরিখে এই বছর সবার উপরে জায়গা করে নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur)। পূর্ব মেদিনীপুরের পাশের হার ৯৫.৭৫ শতাংশ। পাশের হারের দিক দিয়ে কলকাতা (Kolkata) অনেক পিছিয়ে পড়েছে এবং তারা জায়গা করেছে দশম স্থানে।

চলতি বছর ১৪ মার্চ শুরু হয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয় ২৭ মার্চ। এবছর মোট ৬০টি বিষয়ে পরীক্ষা হয়। অন্যদিকে পরীক্ষায় বসেছিলেন ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৪৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৯১ জন। এই সকল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষায় পাশ করতে সক্ষম হয়েছেন ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮০৭ জন। পাশের হার ৮৯.২৫%। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাশের হার কম। ছেলেদের পাশের হার ৯১.৮৬ শতাংশ এবং মেয়েদের পাশের হার ৮৭.২৬ শতাংশ।

এই বছরও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার পাশাপাশি সংসদের তরফ থেকে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। যে মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ৮৭ জন পরীক্ষার্থী। ৪৯৬ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শুভ্রাংশু সর্দার। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন দুজন। বাঁকুড়ার সুষমা খান এবং উত্তর দিনাজপুরের আবু সামা। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫।

৪৯৪ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মোট চারজন। যারা হলেন চন্দ্রবিন্দু মাইতি (তমলুক), অনুসূয়া সাহা (বালুরঘাট), পিয়ালী দাস (আলিপুরপদুয়ার), শ্রেয়া মল্লিক (বালুরঘাট)।

অন্যদিকে চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন শ্রীজিতা বসাক (দক্ষিণ দিনাজপুর), নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (নরেন্দ্রপুর), প্রেরণা পাল (উত্তর ২৪ পরগনা)। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩।

আরও পড়ুন : বাবার স্বপ্ন পূরণে বাবার মৃতদেহ বাড়িতে রেখেই উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা দিল নিশা

পঞ্চম স্থানে রয়েছেন কৌস্তভ কুণ্ডু (হুগলি), ঋষিতা সিনহা মহাপাত্র (বোলপুর), দীপ্তার্ঘ্য দাস (পূর্ব মেদিনীপুর), অঙ্কিতা ঘড়াই (পুরুলিয়া)। এই সকল পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২।

অন্যদিকে এই ভালো ফলাফলের মধ্যেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য অর্থাৎ ফেল করেছেন ৮৭ হাজার ৮৪ জন। তবে আশাহত হলে হবে না। যারা এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য অর্থাৎ পাশ করতে পারেননি তারা পরের বছর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।