Phone hack: বর্তমানে স্মার্টফোন ছাড়া মানুষের একদিনও কাটানো প্রায় অসম্ভব। শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য নয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজেও স্মার্টফোন খুবই কার্যকরী। বহু মানুষের রুটি রুজির অন্যতম মাধ্যমও স্মার্টফোন। মানুষের স্মার্টফোনের উপর নির্ভরতা বাড়ার সাথে সাথে ফোন সংক্রান্ত অপরাধ মূলক কাজ কর্মও বাড়ছে। হ্যাক করা হচ্ছে স্মার্টফোন। কিন্তু এই স্মার্টফোন কিভাবে হ্যাক করা হচ্ছে জানলে অবাক হয়ে যাবেন আপনি। আজকের এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনার ফোনের ব্যাটারির অবস্থা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে ফোনটি হ্যাক (Phone hack) করা হয়েছে নাকি তাতে স্পাইওয়্যার ইনস্টল করে আড়ি পাতা হচ্ছে। যদি আপনার ফোনে ঘনঘন চার্জ দিতে হয় তাহলে বুঝবেন কোন সমস্যা আছে। আগের থেকে যদি ব্যাটারি চার্জ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে তাতে ম্যালওয়্যার বা ভুয়ো অ্যাপস রয়েছে।
খেয়াল করে দেখবেন যদি ফোন বেশিক্ষণ ব্যবহার করা হয় তাহলে গরম হয়ে যায়। যদি আপনি ফোনে অনেকক্ষণ ধরে গেম খেলেন কিংবা সিনেমা দেখেন তাহলেও কিন্তু ফোন গরম হয়ে যেতে পারে। তবে যদি এসব কিছু না করেও আপনার ফোন গরম হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে এতে রয়েছে অন্য সমস্যা। আবার অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় ফোনে নানারকম অদ্ভুত কান্ডকারখানা ঘটছে, কিংবা অ্যাপগুলি খুব দ্রুততার সঙ্গে ক্র্যাশ করছে, আবার কখনও লোড হতে সময় লাগছে, আবার লোডই হচ্ছে না। ব্যবহারকারীর ইনপুট ছাড়াই বারবার রিবুট, শাটডাউন হচ্ছে। এইসব ঘটনা ঘটলে আপনাকে সতর্ক (Phone hack) থাকতে হবে।
আরো পড়ুন: কেন বাড়ির বাইরে রাখা হয় স্মার্ট মিটার, কারণ জানেনা অধিকাংশ মানুষ
নিজের ফোন সম্পর্কে সতর্ক থাকুন এবং খেয়াল রাখবেন ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনও প্রসেস (Phone hack) চলছে কিনা, তাহলেই বুঝবেন কোনও ম্যালওয়্যার আছে। আপনার স্মার্টফোন যদি স্লো হয়ে যায় অথবা অ্যাপ খুলতে পারছেন না বা আপনার ব্যাটারি পাওয়ারও বেশ ভালোভাবেই প্রভাবিত, বুঝে যাবেন ব্যাকগ্রাউন্ডে ম্যালওয়্যার চালু আছে। অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।
এইসময় আপনাদের উচিত অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করা। যেগুলিকে স্পাইওয়্যার বলে মনে হবে সেগুলো রাখবেন না। সব সময়ে অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন। মোবাইল ডেটা ইউসেজ বেড়ে গেলে সাবধান হয়ে যান। ম্যালিশিয়াস অ্যাপ বা সফটওয়্যার মোবাইল ডেটা অনেক বেশি খরচ করাতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা আরও সতর্ক হয়ে যান। ফোন ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকতে হবে আরও বেশি। মোবাইলে যেকোন রকম অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় তা গুগল প্লে কিংবা অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করুন। দেখবেন ফোনের মাধ্যমে আপনাকে যেন কেউ হ্যাক (Phone hack) করতে না পারে।