নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছে গায়িকা তথা বিধায়িকা অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর (Debraj Chakraborty)। আগেও সিবিআই তাকে তলব করেছে, আর এবার লোকসভা ভোট চলাকালীন ফের ঘুম উড়ল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি দেবরাজের। কেননা মঙ্গলবার বিকালেই তাকে ফের সিবিআইয়ের তরফ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ।
অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকে কেবল নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাই নয়, এর পাশাপাশি বুধবার তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেবরাজ চক্রবর্তীকে এইভাবে বারবার তলব করা রীতিমতো চাপ বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে এই ধরনের ঘটনার পরই প্রশ্ন ও কৌতূহল বাড়ছে দেবরাজ চক্রবর্তীর সম্পত্তি নিয়ে।
অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর নামে ২০২১ সালে দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। যে দুটি অ্যাকাউন্টে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় যথাক্রমে ৪৯ হাজার ৭৬৭.৫২ টাকা এবং ৬২ হাজার ৭৬.২২ টাকা ছিল। তার নামে সেই সময় ১৫০ গ্রামের সোনার অলংকার ছিল এবং সেই সময় যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। তার মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৪৩.৭৪ টাকা।
দেবরাজ চক্রবর্তীর রোজগার সম্পর্কে যা জানা গিয়েছে তা হল ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে তিনি রোজগার করেছিলেন ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৭৭ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৭২০ টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৫৩ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৭৮৭ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রোজগার করেছিলেন ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৭ টাকা।
দেবরাজ চক্রবর্তী রোজগারের উৎস হিসাবে ২০২১ সালে যা জানিয়েছিলেন তাতে তার একটি সংস্থা রয়েছে, এছাড়াও কাউন্সিলার হিসেবে যে বেতন পান তাও তার রোজগারের অঙ্গ। অন্যদিকে তিনি তার স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে কোন উল্লেখ করেননি নির্বাচন কমিশনকে যাওয়া তার স্ত্রীর হলফনামাতে।