Polling Officer: সেক্টর অফিসার থেকে প্রিজাইডিং অফিসার, ভোটের জন্য কত টাকা পান ভোট কর্মীরা

How much money is allotted for Polling Officer regarding their duty: ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা হয়েছে কিছুদিন হল। ১৯ শে এপ্রিল থেকে ১লা জুন অব্দি এই ভোট প্রক্রিয়াটি অনুষ্ঠিত হবে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এবং এর ফল প্রকাশ করা হবে ৪ঠা জুন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত। বিভিন্ন জায়গায় ভোট প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত করার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী ছাড়াও প্রয়োজন হয় বেশ কিছু ভোট কর্মীর (Polling Officer)।

নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে চালনা করার পিছনে প্রতিরক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি ভোটকর্মীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনারের কাছে এই বছর থেকে ভোট কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে শিক্ষানুরাগী এক ঐক্য মঞ্চ।

২০১৪ সালের পর থেকে ভোট কর্মীদের (Polling Officer) বেতন বৃদ্ধি করা হয়নি। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনারের কাছে এর আগেও বহুবার আবেদন করা হয়েছে ঐক্যমঞ্চের তরফ থেকে। কিন্তু ঐক্য মঞ্চকে আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি নির্বাচন কমিশন। তাই এই বছর আরও জোর দিয়ে এই দাবি জানানো হয়েছে ঐক্য মঞ্চের তরফ থেকে।

আরও পড়ুন 👉 Prashant Kishore on Sandeshkhali: সন্দেশখালি বিজেপির মাইলেজ! স্বীকার করছেন খোদ ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর

চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ভোট কর্মীরা কে কত টাকা বেতন পান। সেক্টর অফিসার পান ১৫০০ টাকা, প্রিসাইডিং অফিসার পান 350 টাকা, পোলিং অফিসার (Polling Officer) পান ২৫০ টাকা, এছাড়াও চতুর্থ শ্রেণীর লোকেরা পান ১৫০ টাকা। খাবারের জন্য প্রতিদিন মাথাপিছু ১৫০ টাকা করে বরাদ্দ থাকে। ইনকাম ট্যাক্স ইন্সপেক্টর পান ১২০০ টাকা। ভিডিও ভিউইং টিম, ভিডিও সার্ভেলন্স টিম, অ্যাকাউন্টিং টিম, কন্ট্রোল রুম এবং কল সেন্টার গ্রুপ ফ্লাইং স্কোয়ারদের মতন প্রয়োজনীয় ব্যক্তিরা কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী যথাক্রমে ১২০০ টাকা ১০০০ টাকা এবং ২০০ টাকা বেতন পান। বিএলআর দের দিয়ে সারা বছর কাজ করিয়ে বছরে মাত্র ৩৫০০ টাকা বেতন দেওয়া হয়। সরকারের কোটি কোটি টাকা অন্যান্য খাতে খরচ হলেও ভোট কর্মীদের বেলায় নজর নেই নির্বাচন কমিশনের।

ভোট কেন্দ্র বা বুথ থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম অব্দি সমগ্র ভোট প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালন করার পিছনে এই ভোট কর্মীদের (Polling Officer) অবদান অনস্বীকার্য। এনাদের ছাড়া এই কাজটি সম্পন্ন করা এক কথায় অসম্ভব। অনেক সময় দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিগত সংঘর্ষের মাঝে পড়ে ভোট কর্মীদের আহত হওয়ার খবর ও শোনা যায়। এতকিছুর পরও ভোট কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই কর্মকাণ্ডটিকে সুসম্পন্ন করে থাকেন। তাই তাদের বেতন বৃদ্ধি হওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ।