How Saffron became the world’s most expensive spice: বিশ্বের সবচেয়ে দামি মশলা হলো কেশর (Saffron)। কেশরের বাজারদর এত বেশি হওয়ার অনেক গুলি কারণ আছে। তার মধ্যে, একে চাষ করার পদ্ধতি অন্যতম। যে পদ্ধতিতে এই ফুলের পাপড়ি তৈরি করা হয়, তা কেশরকে এত বেশি দামি মশলায় পরিণত করার জন্য যথেষ্ট। তবে শুধু এটুকুই নয়, কেশরের অনেক গুনাগুনও রয়েছে। কেশর শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।
অকারণে হঠাৎ করেই রেগে যাচ্ছেন? বা তেমন কোন দুঃখের ঘটনা না ঘটলেও চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসছে? আবার খুব সামান্য ঘটনাতেই অনেক বেশি খুশি হয়ে যাচ্ছেন? এই ঘনঘন মুড পরিবর্তন খুব একটা ভালো লক্ষণ নয়। মহিলাদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা প্রবল। এছাড়াও বর্তমানে ডিপ্রেশন শব্দটি খুব বেশি পরিচিত হয়ে উঠছে। ছোট বড় সবাই কাজের চাপে, পড়াশোনার চাপে, মানসিক চাপে নানা কারণে ডিপ্রেশনে ভুগছেন। এই সব কিছু থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কেশরকে (Saffron)। গবেষণায় দেখা গেছে যে, কেশর মানুষের মন ভালো রাখে, আর ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত করতেও সাহায্য করে। এক কথায়, আপনার অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে সাহায্য করতে পারে কেশর।
কেশর (Saffron) অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা অক্সিডেটিস চাপ কমায় এবং ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে। এছাড়াও, হৃদরোগ বা ক্যান্সারের মতন দীর্ঘস্থায়ী রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে আজই আপনার নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় কেশরকে যুক্ত করে নিন। মহিলাদের প্রি মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমেরও খেয়াল রাখে কেশর। অর্থাৎ, ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে মহিলাদের মানসিক ও শারীরিক যে পরিবর্তনগুলো আসে যেমন ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন, গা হাত পা ব্যথা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কেশর।
কেশরে (Saffron) থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওবিসিটি প্রতিরোধ করে মেটাবলিক ডিসঅর্ডার দূর করতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন চা বা দুধের সাথে কেশর মিশিয়ে খেলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ, কেশর খিদে কমায়। অত্যাধিক খাবারের চাহিদা কমতে থাকলে খুব স্বাভাবিক নিয়মেই ওজনও কমতে থাকবে। এছাড়াও যৌনতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে এর জুড়ি মেলা ভার। পুরুষ বা নারী উভয়ের যৌন জীবনকেই সচ্ছল রাখতে সাহায্য করতে পারে কেশর। এই মশলা পুরুষের শরীরের ইরেক্টাইন ফাংশানটি উন্নত করে।
কেশর (Saffron) শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রোজকার খাদ্য তালিকায় একটু কেশর রাখলে উপকৃত হতে পারেন মধুমেহ রোগাক্রান্ত রোগীরাও। কেশর শরীরে ফাস্টিং গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে মাত্র আট সপ্তাহের মধ্যে।