নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam) শুরু হতে চলেছে। এমনিতেই এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় একাধিক বদল আনা হয়েছে সংসদের তরফ থেকে। প্রথমত অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক এগিয়ে আনা হয়েছে পরীক্ষা। এর পাশাপাশি পরীক্ষার সময়ও বদলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই আরও বড় বদলের পূর্বাভাস পাওয়া গেল।
সংসদ সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষায় বড় বদল আসতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। তবে এই বড় বদল চলতি বছর পরীক্ষার্থীদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। এই বড় বদল প্রভাব ফেলবে আগামী দিনে যারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ভর্তি হবেন তাদের ওপর। কেননা এবার সংসদের তরফ থেকে পরীক্ষার পদ্ধতি ও পুরো সিলেবাস (Higher Secondary Syllabus) বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য নতুন সিলেবাস এবং পরীক্ষার পদ্ধতি বদলের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে রাজ্য সরকারের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত সংসদ নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি ও নতুন সিলেবাস চালু করতে পারছে না। এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন। তার কথা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই নতুন সিলেবাস ও নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন ? HS Exam New Rule: বড় বদল আসছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়, পরীক্ষার্থীদের সামনে খুলে যাবে নতুন দরজা
তবে শিক্ষামন্ত্রীর কথা থেকে এটাও আন্দাজ করা যাচ্ছে যে, চলতি বছর থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নতুন সিলেবাস কার্যকর হয়ে যেতে পারে। যদি মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সংকেত দেন তাহলে এই বছর মাধ্যমিক পাশ করা পড়ুয়ারা যখন একাদশ ক্লাসে ভর্তি হবেন তখন তারাই হবেন নতুন সিলেবাস ও নতুন পরীক্ষা পদ্ধতির প্রথম ব্যাচ। সিলেবাস না হয় নতুন হল, কিন্তু সংসদ পরীক্ষা পদ্ধতিতে কি বদল আনছে?
সংসদের তরফ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাস বদলের পাশাপাশি সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একটি পোর্টালের সূচনা করেছেন। এবার ওই পোর্টালের মাধ্যমে সংসদের যাবতীয় কাজকর্ম হবে অনলাইনে। আগে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা এবং প্রজেক্ট ইত্যাদির যে সকল কাজ অফলাইনে হতো তাও এবার হবে অনলাইনে। এছাড়াও থিওরি পেপারের নম্বরও শিক্ষকরা এবার সরাসরি অনলাইনে পাঠাবেন।