নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের বিভিন্ন সময় বাঙালি পর্যটক থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জায়গার পর্যটকরা সিকিমের (Sikkim) মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর রাজ্যের জমান। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা প্রায় সবসময়ই সিকিমে পর্যটকদের ভিড় জমাতে দেখা যায়। আসলে সিকিম এমন একটি রাজ্য যেখানে সব জায়গা ঘুরে দেখা পর্যটকদের কাছে একবারে সম্ভব হয়ে ওঠে না। যে কারণেই পর্যটকদের বড় অংশকে বারবার সিকিমে ঘুরতে যেতে দেখা যায়।
আবার সিকিমের বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে যাওয়ার জন্য অধিকাংশ পর্যটকদের প্রথমেই গ্যাংটকে (Gangtok) উঠতে দেখা যায় এবং সেখান থেকে যাবতীয় পারমিট করিয়ে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ছুটে যেতে দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই গ্যাংটক এমন একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান। আর এই ভিড়ের ফলস্বরূপ গ্যাংটক শহরে অধিকাংশ সময় ব্যাপক যানজট লক্ষ্য করা যায়।
তবে এবার সিকিম রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গ্যাংটকে এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল, যার ফলে যানজট কি জিনিস তা অতীত হতে চলেছে এবং পর্যটকরা মনের আনন্দে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। সিকিম রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নতুন যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে তার ফলে আর জ্যামে আটকে পর্যটকদের ফাসফাঁস করতে হবে না।
আরও পড়ুন ? Ahaldhara View Point: দার্জিলিং-সিকিম অতীত! এবার ঘুরে আসুন এই পাহাড়ি স্পট, গেলে আর ফিরতে মন চাইবে না
আসলে সিকিম রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গ্যাংটকের এমজি মার্কেটের ঠিক পাশেই আরিথান এলাকায় তৈরি করা হয়েছে একটি হাইড্রোলিক পার্কিং লট। এই পার্কিং লট যেমন তেমন পার্কিং লট হবে না, এটি একেবারেই অত্যাধুনিক একটি পার্কিং লট। এই পার্কিং লট বহুতল বিশিষ্ট এবং এর উদ্বোধন করেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। এমন একটি পার্কিং লটের উদ্বোধনের ফলে যানজট সমস্যা মিটে যাবে এবং পর্যটকদের কোন সমস্যা হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী।
সিকিমের গ্যাংটকে তৈরি হওয়া নতুন এই পার্কিং লটটি ৩.৭৫ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে। আইআইটি গুয়াহাটি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পাহাড়ের কোলে এমন একটি পার্কিং লট তৈরি করার জন্য সহযোগিতা করেছেন। এই পার্কিং লটে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে করে তা ভূমিকম্পেও কোনোভাবে ক্ষতির মুখোমুখি না হয়। ২৬ বছরের জন্য এই পার্কিং লট ১৯৬ কোটি টাকার বিনিময়ে একটি বেসরকারি সংস্থাকে লিজে দেওয়া হয়েছে।