পোস্টপেইডের বিল ফাঁকি দেওয়ার দিন শেষ! জমা না দিলে এবার কপালে জুটবে জেলের ভাত

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে বহু পোস্টপেইড (Postpaid Bill) গ্রাহক রয়েছেন যারা মাসের পর মাস পোস্টপেইড কানেকশন ব্যবহার করেও বিল জমা দেন না। এই ধরনের অধিকাংশ গ্রাহকদের মধ্যেই একটি সংস্থায় পোস্টপেইড বিল বাকি রেখে অন্য সংস্থা চলে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এমন ঘটনায় রীতিমতো লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা জলে দিতে হয় টেলিকম সংস্থাগুলিকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার এমন নিয়ম এসে গেল, যাতে করে এই ধরনের বিল ফাঁকি দেওয়ার দিন শেষ হতে চলেছে।

সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একাধিক যে সকল আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে তাদের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে টেলিকমিউনিকেশন বিল (Telecommunication Bill 2023)। এই বিলের মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মোবাইল ও অন্যান্য ফোন ব্যবহারকারীদের যেমন নানান বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ঠিক সেই রকমই বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সংস্থাগুলিকেও। কেন্দ্রের তরফ থেকে বিলে এমনই পরিবর্তন আনা হয়েছে।

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নতুন যে টেলিকমিউনিকেশন বিল পাস করানো হয়েছে তাতে পোস্টপেইড বিল জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়া অথবা বিলম্বিত করার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির শিকার হতে পারেন গ্রাহকরা। এমন ঘটনার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জেলেও যেতে হতে পারে। বিষয়টি অবাক লাগলেও কিন্তু এমনই আইন আনা হচ্ছে। যে কারণে এই ধরনের কাজ যারা করে থাকেন তাদের এখনই সতর্ক হতে হবে।

আরও পড়ুন 👉 কমবে মোবাইল খরচ, বাড়বে সুরক্ষা! নতুন টেলিকমিউনিকেশন বিলে আপনি পাবেন এই ৬ সুবিধা

নতুন নিয়ম অনুসারে এই ধরনের ঘটনায় প্রথমে গ্রাহকদের আদালত পর্যন্ত দৌড়াতে হতে পারে। আর আদালতের নির্দেশ যদি না মানা হয় তাহলে তার জন্য জেলের ভাত নিশ্চিত। পোস্টপেইড সংক্রান্ত যে নিয়ম রয়েছে, সেই নিয়ম অনুযায়ী যদি কোন গ্রাহক তার পোস্টপেইড বিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দেন তাহলে এমন নানান ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার রয়েছে টেলিকম সংস্থাগুলির।

তবে প্রথমেই আদালত অথবা পুলিশি মামলার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না। কোন গ্রাহক যদি বিল জমা না দেন তাহলে প্রথমেই তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর সংস্থার তরফ থেকে বিল মেটানোর জন্য বারবার সতর্ক করা হয়। এমনকি এই ধরনের ঘটনায় এজেন্টের মাধ্যমেও বারবার সতর্ক করা হয়ে থাকে ও টাকা মেটানোর জন্য এজেন্টদের পাঠানো হয়। কিন্তু তারপরেও যদি কোন সুরাহা না হয় তাহলে সংস্থার তরফ থেকে মামলা করা হয়। এরপরেও মামলাটি ঋণ সংগ্রাহকের কাছে পাঠানো হয় এবং টাকা পরিশোধ করার সুযোগ থাকে। তবে তার পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আইনি নোটিশ জারি করে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে হাজিরা না দিলে অথবা তারপরেও টাকা প্রদান না করলে আদালতের তরফ থেকে দেওয়ানি পরোয়ানা জারি করা হয়। দেওয়ানী পরোয়ানা জারি হলেই পুলিশ গ্রাহককে গ্রেফতার করতে পারে। আর গ্রেপ্তার হওয়া মানেই পুরো টাকা শোধ করা। কেননা তা না হলে আরো একটি ওয়ারেন্ট জারি করা হতে পারে পুলিশের তরফ থেকে।