লকডাউনের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে সীমানা পরিদর্শনে আই.জি. ও পুলিশ সুপার

হিমাদ্রি মন্ডল :দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও করোনা ভাইরাসের থাবায় পড়লেও এখনো পর্যন্ত সুরক্ষিত রয়েছে বীরভূম। বীরভূম যেহেতু এখনো অরেঞ্জ জোনের মধ্যে রয়েছে তাই এই জেলার সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে, যাতে করে অন্য জেলা বা রাজ্য থেকে কেউ বীরভূমে প্রবেশ করতে না পারেন। যদিও শুধু বীরভূম নই লকডাউনকে কার্যকরী করতে অন্যান্য জেলাগুলির ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আর এই লকডাউন জেলায় কতটা সফল বা কার্যকর তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে এলেন বর্ধমান রেঞ্জের আই.জি. ভরতলাল মিনা। এছাড়াও ছিলেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং।

বৃহস্পতিবার প্রথমেই তারা ঝাড়খণ্ড সীমান্ত পরিদর্শন করেন। পৌঁছে যান বীরভূম দিঘুলি বর্ডারে। সেখানে ঘুরে দেখেন পুলিশী ব্যবস্থা। সেখানে থাকা অস্থায়ী বাঙ্কারটিও খতিয়ে দেখেন। আই.জি. কথা বলেন ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে। তাদের তরফ থেকে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কতক্ষণ ডিউটি করছেন তারা সবকিছু জিজ্ঞাসা করেন তিনি। একই সঙ্গে বীরভূম পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা হয় কিনা তাও জানতে চান। প্রতিটি বর্ডারে যাবেন বলেও জানিয়েছেন আইজি।

পরিদর্শনের মাঝেই আই.জি. ভরতলাল মিনা জানান, “বীরভূমের দিক থেকেও নাকা রয়েছে, পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের দিক থেকেও নাকা রয়েছে। কেবলমাত্র অনুমোদনপ্রাপ্ত গাড়িগুলি যাতায়াত করুক, বাকি গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে না। জেলার অন্যান্য যে সমস্ত বর্ডার এলাকা রয়েছে সেগুলো সব ঘুরে দেখা হবে।”

আইজির পরিদর্শনের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ উঠে আসে, যেটি হল ঝাড়খণ্ডের দুমকার বাসিন্দাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে।কারণ সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দারা চিকিৎসার জন্য সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল, তাহলে কি তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য এখানে আসতে পারবেন?

এ প্রসঙ্গে আই.জি. জানান, “যা হচ্ছে তা সরকারি নির্দেশিকা মেনেই করা হচ্ছে।”