Maa Saraswati Devi: সরস্বতী পুজো তো করেন, কিন্তু দেবীর জন্ম হয়েছিল কোন গ্রামে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

In which village of mortals Maa Saraswati Devi appeared: অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালিত হবে সরস্বতী পুজো (Maa Saraswati Devi)। বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। বছরের নানা সময় বহু ধর্মীয় অনুষ্ঠান লেগেই থাকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে। তবে ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নতুন বছর পড়তে না পড়তেই যে পুজোর আনন্দে সকলে মেতে ওঠেন তা হলো সরস্বতী পুজো। তবে আপনি কি জানেন এই বিশেষ গ্রামটিতে সরস্বতী দেবী জন্মেছিলেন বলে জানা যায়।

Advertisements

সাধারণ ভাবে আমরা সরস্বতী দেবীকে বিদ্যার দেবী হিসাবে পুজো (Maa Saraswati Devi) করি। কিন্তু আপনি কি জানেন সরস্বতী দেবীর জন্ম বৃত্তান্ত? পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে জানা যায় প্রজাপতি ব্রহ্মার মুখ থেকে জন্ম হয়েছিল দেবী সরস্বতীর। স্বর্গে নয় বরং মর্ত্যেই প্রথম আবির্ভূতা হয়েছিলেন বিদ্যার দেবী সরস্বতী। প্রচলিত লোক বিশ্বাস অনুসারে জানা যায় উত্তরাখণ্ডের মানা গ্রামে জন্ম হয় দেবী সরস্বতীর। যোশীমঠ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মানা গ্রাম। জানা যাচ্ছে এটিই ভারতের শেষ গ্রাম।

Advertisements

পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে বলা হয় সৃষ্টির সূচনা লগ্নে এই গ্রামেই ব্রহ্মার মুখ থেকে সৃষ্টি হয়েছিলেন বিদ্যার দেবী। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো মহাজ্ঞানী ব্যাসদেব এই মানা গ্রামেই সরস্বতী নদীতে স্নান করে পবিত্র ভাবে মহাভারত ও পুরাণ রচনা করেছিলেন। মহাভারতের কাহিনীতেও এই গ্রামের উল্লেখ মেলে। মহাভারত অনুসারে জানা যায় এই মানা গ্রামটি থেকেই মহাপ্রস্থানের পথে গমন করেছিলেন পঞ্চপাণ্ডব ও দ্রৌপদী। মানা গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত হওয়া সরস্বতী নদী দ্রৌপদী পেরোতে না পারায় এই নদীর উপর ভীম দ্রৌপদীর জন্য একটি সেতু নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। এখনও মানা গ্রামে গেলে সেই ভীম সেতু দেখা যায়।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Basant panchami: কেন সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া বারণ! দেবী রুষ্ট হন, নাকি অন্যকিছু

এই গ্রামে একটি গুহা আজও দেখা যায়। বিশ্বাস করা হয় সেটিও মহাভারতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। মানা গ্রামে থাকা বিশেষ ওই গুহাটির নাম ব্যাস গুহা। বিশ্বাস করা হয় এই গুহায় বসেই চতুর্বেদ রচনা করেছিলেন ব্যাসদেব। প্রচলিত এই লোক বিশ্বাসের কারণেই এই গুহা ব্যাস পুস্তক নামেও পরিচিত। মানা গ্রামে আবার বিরাজ করছে গণেশ গুহা। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে মনে করা হয় এই গুহাতে বসে মহাজ্ঞানী ব্যাসদেবের কাছ থেকে শুনে সম্পূর্ন মহাভারত মহাকাব্য লিপিবদ্ধ করেছিলেন ভগবান গণেশ।

মানা গ্রামটিকে আমাদের দেশের শেষ গ্রাম হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। গ্রামে প্রবেশ করার মুখে নির্মাণ করা আছে একটি উঁচু গেট ও তোরণ। সেখানে বড় বড় হরফে লেখা আছে ‘The First Indian Village’। যারা বদ্রীনাথ ধাম দর্শন করতে যান তাদের মধ্যে অনেকেই মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে মানা গ্রাম থেকে ঘুরে যান। মানা গ্রামকে দেখলে মনে হয় ছবির মত সুন্দর করে যেনো সাজিয়ে রাখা হয়েছে এই গ্রামকে। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখলে সত্যিই মনে হয় এই গ্রামের পর থেকেই স্বর্গের শুরু। দেশের শেষ চায়ের দোকানটিও অবস্থিত এই গ্রামে। পর্যটকদের কাছে এটিও অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয়।

Advertisements