বর্তমানে আমাদের দেশে ডিজিটাল লেনদেন অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের সব জায়গায় এবং সব রকমের মানুষেরা ডিজিটাল লেনদেন করতে আজ অভ্যস্ত। এরজন্য করোনার মতো মহামারী অনেকাংশে দায়ী। তবুও এমন মানুষ আজও আছেন যারা বাড়িতে নগদ অর্থ রাখতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু অত্যাধিক নগদ অর্থ বাড়িতে জমা রাখলে আয়কর বিভাগের (Income Tax) ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।
আপনিও কি তাদের মধ্যেই পরেন? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে বাড়িতে নগদ অর্থ রাখার জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাড়িতে আদৌ কত টাকা রাখা যায় এবং আইনত কত টাকা বাড়িতে রাখা ঠিক, সেই সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকার। এ বিষয়ে আয়কর আইন কি বলছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের দেশের আয়কর (Income Tax) আইন অনুযায়ী, যদি আপনি বাড়িতে নগদ অর্থ রাখেন সেই অর্থের কোন ঊর্ধ্বসীমা থাকে না। কিন্তু যখন কোন ব্যক্তির বাড়িতে আয়কর বিভাগ থেকে রেড পড়বে তখন সেই ব্যক্তি আয়কর বিভাগের সদস্যদের সাথে সহযোগিতা করতে বাধ্য থাকবে। বাড়িতে রাখা সব নগদ অর্থের প্রত্যেকটি টাকার হিসাব আয়কর বিভাগকে দিতে হবে।
যখন আয়কর বিভাগ (Income Tax) থেকে আপনার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাবে তখন আপনাকে বাড়িতে থাকা সকল টাকার হিসাব দিতে হবে।যদি আপনার কাছে প্রচুর পরিমানে নগদ অর্থ পাওয়া যায় তাহলে তার উপযুক্ত নথি দেখাতে আপনি বাধ্য। আয়কর বিভাগকে যদি আপনি নগদ অর্থের কোন সঠিক হিসাব দিতে না পারেন, তাহলে আপনি জরিমানা দিতে বাধ্য থাকবেন। কখনো কখনো এই জরিমানা প্রাপ্ত অর্থের ১৩৭ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
আয়কর বিভাগ (Income Tax) যখন তল্লাশি করবে সেই সময় পাওয়া টাকার হিসাব দিতে হবে না দেখাতে পারলে প্রাপ্ত অর্থের ১৩৭ শতাংশ পর্যন্ত টাকা জরিমানা হতে পারে। এই সব দেখাতে না পারলে পাওয়া টাকা অধিকরণ করা হবে এবং কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। মনে রাখতে হবে যে, আয়কর আইন অনুযায়ী কোনও ব্যাক্তি ২০,০০০ টাকার বেশি অর্থ ঋণ বা ডিপোজিট হিসাবে নিতে পারেন না। এই একই নিয়ম ২০০০০ টাকা মূল্যের সম্পত্তির ক্ষেত্রেও কার্যকরী হয়। কোনও ব্যক্তি যখন উপযুক্ত নথি ছাড়া একটি অর্থবছরে ২০ লাখ টাকার বেশি নগদের লেনদেন করেন তখন জরিমানা করা যেতে পারে। ৫০০০০ টাকার বেশি অর্থ জমা বা তোলার জন্য অবশ্যই প্যান কার্ড লাগবে।