নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের অর্থনীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টর পরিষেবা মূলক জায়গা থেকে পরিবর্তন হয়ে উৎপাদনমূলক জায়গায় আসছে। এবার এই তালিকায় চলে এলো গাড়ির বাজার (Automobile Sector)। গাড়ির বাজারে ভারত এবার বড় বড় ঝাঁপ দিতে শুরু করেছে আর ভারতের এমন উন্নতিতে পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে বিশ্বের জনপ্রিয় দেশগুলিকে।
গত কয়েক বছরে ভারতের অটোমোবাইল শিল্প এতটাই উন্নয়ন করেছে যে এখন ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হয়ে দাঁড়িয়েছে অটোমোবাইল সেক্টরে। তবে তৃতীয় স্থানেই থেমে থাকতে চাইছে না দেশ, আগামী দিনে দেশের লক্ষ্য হলো বিশ্বের এক নম্বর ভেহিকেল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত হওয়া। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি এমনটাই দাবি করেছেন এবং সেই লক্ষ্যেই দেশ এগোচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি গুজরাটে আয়োজিত ভাইব্রেন্ট গুজরাট গ্লোবাল সামিট ২০২৪ এ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি দাবি করেছেন, ভারত কেবলমাত্র অটোমোবাইল সেক্টরে বিশ্বে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে তা নয়। এর পাশাপাশি এই সেক্টরে সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় দেশ জাপানকে ভারত পিছনে ফেলে দিয়েছে। এছাড়াও তিনি একটি অ্যাওয়ার্ড সেশানে বক্তব্য রাখার সময় জানিয়েছেন, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির সংখ্যা বেড়েছে ৫০০% শতাংশ।
আরও পড়ুন ? India Economy: ‘চিনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবই’, অর্থনীতিতে এই জায়গায় পৌঁছানোর গ্যারান্টি দিলেন মোদি
দেশের অর্থনৈতিক গতির কথা বলতে গেলে আগামী দিনে ভারত পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক দেশ হয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে বহু অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। ভারত এমন বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে অটোমোবাইল সেক্টরের বড় অবদান থাকবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি জানিয়েছেন, অটোমোবাইল সেক্টরকে ২৫ লক্ষ কোটি টাকার শিল্পে পরিণত করার সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বর্তমানে ভারতের অটোমোবাইল সেক্টরের মূল্য হল ১২.৫ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি এই বাজারকে ২৫ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এবং দেশকে বিশ্বের এক নম্বর অটোমোবাইল সেক্টর দেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন। এই স্বপ্ন পূরণ কঠিন হলেও অসম্ভব কিছু নয়। কেননা এখন ভারতে বহু নামিদামি সংস্থা এসে তাদের কারখানা তৈরি করছে এবং ভারতেই নামিদামি গাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি পরিস্থিতি অনুকূল হয় তাহলে শুধু ভারতীয় বাজার নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও নিজেদের জাল ছড়িয়ে দিতে পারবে দেশ।