Indigenous Battle Tank Engine: পর ভরসার দিন শেষ! এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধ ট্যাঙ্ক পরীক্ষায় মিলল ১০০ তে ১০০

India has made an Indigenous Battle Tank Engine: ভারতবাসীর গর্বের মুকুটে যুক্ত হলো আরো একটি পালক। ভারত, আমার আপনার দেশ আমাদের মাতৃভূমি ভারত বর্ষ। ভারত সফলতা পায় মাটিতে, সফলতা পায় আকাশে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা দপ্তর অথবা চিকিৎসা বিজ্ঞান সর্বত্রই সাফল্যের ছাপ রেখে চলেছে আমাদের ভারত বর্ষ। এইবার দেশীয় পদ্ধতিতে যুদ্ধের মূল ট্র্যাঙ্ক ইঞ্জিনটি (Indigenous Battle Tank Engine) তৈরি করে ফেলা হয়েছে ভারতেই। শুধু তৈরি হয়নি প্রথমবারের পরীক্ষাতেই সম্পূর্ণরূপে সফল এই যুদ্ধ ট্যাঙ্কটি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার মাইসুর বিএমএল লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করা ১৫০০ এইচপি ইঞ্জিনের (Indigenous Battle Tank Engine) পরীক্ষা সফল হয়েছে। এই সাফল্য দেশের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও প্রতিরক্ষা বিভাগের স্বনির্ভরতার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করছে।

১৫০০ এইচপি ইঞ্জিনটি সামরিক প্রপলসনের নতুন দিক পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। উচ্চতা, উচ্চ শক্তি থেকে ওজন অনুপাত, শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রা এবং মরুভূমির পরিবেশসহ চরম পরিস্থিতির অপারেট এবিলিটির মতো কাটিং এজের বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই ইঞ্জিনটিতে। ইঞ্জিনটি অর্জুন এম কে ওয়ান এ ট্যাঙ্কগুলিকে শক্তি প্রদান করবে বলে জানা গেছে। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের কাজ ২০২৫ এর মাঝামাঝি সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন 👉 Electric Car Charging Time: ৩০% কমে যাবে চার্জিংয়ের সময়, ইলেকট্রিক গাড়িতে আসতে চলেছে নতুন প্রযুক্তি

সেনাবাহিনীর যুদ্ধক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করার জন্য স্থানীয়ভাবে তৈরি ১১৮টি অর্জুন এমকে-১এ এর জন্য ভভারী যানবাহনের কারখানা আভাদির কাছে ৭,৫২৩ কোটি টাকার অর্ডার দেওয়া হয়। নতুন এই ট্যাংকটি ১৪ টি বড় উন্নতি সহ বিদ্যমান ভেরিএন্টের চেয়ে ৭২ টি আপগ্রেড নিয়ে আসবে। আপগ্রেড গুলি ট্যাঙ্কগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। ট্যাঙ্কগুলির গতিশীলতা, কার্যকারিতা, কর্মদক্ষতা ও স্থায়িত্ব সবকিছুই আরো বাড়িয়ে তুলবে। উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি এই ইঞ্জিনটি বিশ্বব্যাপী সমস্ত সর্বোচ্চ উন্নত ইঞ্জিন গুলির সমতুল্য।

ইঞ্জিনের (Indigenous Battle Tank Engine) প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরামানে। টেস্ট সেল এর উদ্বোধনকারী আরামানে ভারতের এই সাফল্যকে “রূপান্তরকারী মুহুর্ত” বলে বর্ণনা করেছেন যা ভারতীয় সামরিক বাহিনীর দক্ষতা ও শক্তি আরো বাড়িয়ে তুলবে। ১৫০০ এইচপি এই ইঞ্জিনটি সফল পরীক্ষা ফায়ারিং জেনারেশন ওয়ানের সমাপ্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। জেনারেশন টু এর বিভিন্ন বিষয় গুলির জন্য ইঞ্জিন তৈরি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।