India is going to follow the path shown by China to subdue China conflict: ভারত ও চীনের মধ্যে ঝামেলা লেগেই রয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বারবার। সীমানা নিয়ে হওয়া এই লড়াইয়ের সূচনা হয়েছিল ১৯৬২ সালে। সেই সময় ভারত-চীন যুদ্ধে, পরাজিত হয় ভারত। অরুণাচল প্রদেশ এবং আকসাই চীন এই ২ টি এলাকা চীনের দখলে চলে যায়। পরবর্তীতে যুদ্ধ বিরোতি ঘোষণা করে চীন এবং অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন যাবত আবার নতুন করে একই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। শেষ কয়েক বছর ধরে অরুণাচল প্রদেশ বা দক্ষিণ তিব্বতের বেশ কিছু অংশের উপর দখলদারিত্ব নেবার চেষ্টা করছে চীন। বারবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করে চলেছে। কিন্তু এবার ভারতের প্রতিশোধ নেবার পালা। চীনের দেখানো পথেই হাঁটবে ভারত।
কয়েক বছর ধরে অরুণাচল প্রদেশের উপর দখল নেবার জন্য, অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু অংশের নাম পরিবর্তন করেছিল চীন। নাম পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে সেই অংশগুলিকে নিজেদের দেশের অংশ বলে দাবি করেছে চীন। কিন্তু ভারত এই প্রচেষ্টায় বারবারই জল ঢেলে দিয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছেন, নাম বদল করলেই কোন এলাকা কারো দখলে চলে আসে না। তাই এই চেষ্টা বৃথা। কিন্তু তাতেও থেমে থাকে নি চীন। প্রতিনিয়ত সমস্যা সৃষ্টি করেই চলেছে। তাই এবার প্রতিশোধ নিতে উদ্যত ভারত। এখন আর মুখে কথা বলে কোন কাজ হবে না, যা করার তা হাতে কলমে করে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভা ভোটের আগে ঘোষণা করেছিলেন, তিনি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করলে সরকার গঠনের পর প্রথম পদক্ষেপ হবে ভারত চীন দ্বন্দ্বের (India China Conflict) মীমাংসা করা। সেই প্রতিশ্রুতিকে মনে রেখেই ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত সরকার। একদিকে চলছে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তুতি, অপরদিকে চলছে চীনকে জব্দ করার প্রস্তুতি। চীনের দেখানো পথেই এবার হাঁটতে চলেছে ভারত। চীন যেমন অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু অংশ দখল করার জন্য সে অংশগুলির নাম পরিবর্তন করে দিয়েছিল। তেমনভাবেই তিব্বতের বেশ কিছু অংশের নাম পরিবর্তন করতে চলেছে ভারত। দ্য ডিপ্লোম্যাট তাদের পোর্টালে প্রতিবেদনের মাধ্যমে এমনই কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে।
আরও পড়ুন ? Vivo: চীনের মুখের ভাত কেড়ে নিল ভারত! ভিভো মোবাইল নিয়ে এবার বড় পদক্ষেপ
নাম বদলের এই কর্মযজ্ঞে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর “তথ্য যুদ্ধ বিভাগ”। চীন অরুণাচল প্রদেশের যে সমস্ত এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে সেই নামগুলি যে সম্পূর্ণ অবৈধ সে ব্যাপারে প্রমাণ জোগাড় করেছে তথ্য-যুদ্ধ বিভাগ। এশিয়াটিক সোসাইটির সহযোগিতায় তারা রীতিমতো ইতিহাস ঘেটে বের করেছে প্রমাণ। চীনের দাবি নাস্যাৎ করতে বেশ কিছু অংশের ঐতিহাসিক নাম খুঁজে বের করেছে তারা। দক্ষিণ তিব্বতের প্রায় ৩০ টি এলাকার নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে। সেই অংশগুলি নাম পরিবর্তন করা হবে পুরনো ঐতিহাসিক নাম অনুযায়ী। প্রাচীন ভারতে এই জায়গা গুলি যে নামে পরিচিত ছিল আবারো নতুন করে সেই নামেই স্বীকৃতি দেওয়া হবে এলাকাগুলিকে। নতুন এই নামের তালিকা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে।
চীনের সীমান্তবর্তী এলাকায় অরুণাচল প্রদেশের অংশগুলিকে নিয়ে বেজিংয়ের করা দাবির পাল্টা জবাব দিতে চাইছে ভারত। একাধিক এলাকার ঐতিহাসিক নাম ও গুরুত্ব কে খুঁজে বার করা হয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ (India Revenge) নেবা, পাশাপাশি এই সমস্ত অঞ্চলগুলিও পুরনো মর্যাদায় স্বীকৃতি পাবে বলে জানা গেছে। তবে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ভারতের এই পদক্ষেপ বড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। ভারত একদিকে দক্ষিণ তিব্বতকে চীনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আবার একই সাথে দোলাই লামাকে নিজেদের দেশে আশ্রয় দিয়েছে। এখন তিব্বতের বেশ কিছু এলাকার নাম পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে চীনকে সরাসরি চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাতে চাইছে ভারত। ভারতের এই পদক্ষেপের সরাসরি প্রভাব ভারত ও চীন সীমান্ত এলাকায় পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারত ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্বের (India China Conflict) পরিমাণ ভারতের এই পদক্ষেপে আরো বেড়ে যাবারই সম্ভাবনা বেশি।