নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০ টাকার মূল্য এখন কী আর আছে! ২০ টাকার বিনিময়ে আপনি দুটি ভালো সাইজের সিঙ্গারা খেতে পারবেন, অথবা এই টাকা দিয়ে আপনি বড়জোর ঝালমুড়ি খেতে পারবেন। এমনকি বোতলবন্দী জল খেতে গেলেও আপনাকে প্রায় ২০ টাকায় খরচ করে দিতে হয়। কিন্তু জানেন, এই ২০ টাকাতেই এবার বিদেশে পৌঁছে দেবে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। বিশ্বাস হচ্ছে না! বিশ্বাস না হওয়ার মতোই! তবে এই অবিশ্বাস্য বিষয়টিকেই বাস্তব রূপ দিয়েছে রেল।
বিপুল টাকা খরচ না করেও বিদেশের মাটিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারতীয় রেল দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল। অবশেষে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়। ২১ বছর পর এমন সফলতা অর্জন করলো ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেলের তরফ থেকে নামমাত্র খরচে আপনাকে পৌঁছে দেবে প্রতিবেশী দেশ নেপালে (Nepal)। এই ভারতীয় রেলের সৌজন্যেই মাত্র ২০ টাকায় আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন হিমালয়ের কোলের দেশটিতে।
বিহারের জয়নগর থেকে নেপালের কুর্থা পর্যন্ত রেল পরিষেবা শুরু হয় গত বছর। এই রুটে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য নেওয়া হচ্ছে ন্যূনতম ভাড়া। নেওয়া হচ্ছে মাত্র ২০ টাকা। ভারত ও নেপালের মধ্যে থাকা এই রেল পরিষেবার দায়িত্বে রয়েছে পূর্ব এবং মধ্য রেল। বর্তমানে এই রুটে ডিজেল ইঞ্জিন চালিত ট্রেন চালানো হয়ে থাকে।
এই রুটে যে ট্রেন চলাচল করে থাকে সেই ট্রেনটিতে রয়েছে পাঁচটি কামরা। মোট আসন সংখ্যা ৩৫৮ টি। যাদের মধ্যে ১১২ টি বাতানুকূল। এই ট্রেনটির জেনারেল কামরার ভাড়া ২০ টাকা, নন এসি সংরক্ষিত আসনের ভাড়া ৯০ টাকা এবং এসি সংরক্ষিত আসনের ভাড়া ৪০০ টাকা। তবে এই রেল পরিষেবা আজকের নয়, এই রেল পরিষেবা প্রথম চালু হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে।
১৯৩৭ সালে এই পরিষেবা চালু হওয়ার পর ২০০১ সালে নেপালের প্রবল বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রেল পরিষেবা পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২১ বছর কেটে যায়। সম্প্রতি ২০২২ সালে পুনরায় এই রেল পরিষেবা চালু হয় এবং এই রেল পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে এই ট্রেনটি দিনে দুবার যাতায়াত করে থাকে। সকাল সাড়ে আটটায় জয়নগর থেকে ছাড়ার পর তা নেপালের কুর্থা পৌঁছায় সকাল সাড়ে দশটায়। সেখান থেকে ফিরে আসার পর পুনরায় বিকালের দিকে আবার একবার ট্রেনটি যাতায়াত করে থাকে। বিহারের জয়নগর থেকে নেপালের কুর্থা পর্যন্ত পরিষেবা দিতে সময় লাগে মাত্র দু’ঘন্টা।