Indian Rail is taking a big initiative to increase the speed of trains in this section: ভারতীয় গণপরিবহন মাধ্যমগুলির মধ্যে অন্যতম হলো রেল পরিবহন। যে মাধ্যমকে ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ মানুষ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াত করছেন। শহর থেকে শহরতলী প্রায় সব ক্ষেত্রেই কম খরচে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের জন্য মানুষের কাছে অন্যতম মাধ্যম হলো ভারতীয় রেল। ফলেই এই সমস্ত যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানো আরো সহজ করতে রেল (Indian Rail) পরিবহন তরফে নিচ্ছে এক বিশেষ উদ্যোগ।
অন্যতম পরিবহন মাধ্যম হলেও রেল সম্পর্কে মাঝে মাঝেই দুটি অভিযোগ প্রকট হয়ে ওঠে। প্রথমত নিয়মানুবর্তিতা এবং দ্বিতীয়তঃ ভারতীয় রেলের গতি। ভারতের সমকক্ষ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় ভারতীয় রেলের গড় গতি বেশ কম। যার ফলে ট্রেনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে বেশ সময়ের প্রয়োজন হয়। সেই দুর্নাম ঘোচাতে এবার বাড়ানো হচ্ছে ট্রেনের গতি। যার ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে আর দীর্ঘ সময় লাগবে না। খুব কম সময়েই পৌঁছানো যাবে গন্তব্যে। উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক জায়গার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভারতীয় রেল (Indian Rail) উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এলাকায় এই ট্রেনের গতি বাড়ানোর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। চলছে ঝড়ের গতিতে কাজ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জাটিঙ্গা লামপুর ও নিউ হারাঙ্গাজাওয়ের রুটের ১১০/৭ কিমির মধ্যে চলছে ট্রাক মেরামতির কাজ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ৩রা মে থেকে ৭ই মে পর্যন্ত ওই রুটের বেশ কিছু ট্রেন বাতিল এবং ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছিল। অপরদিকে অসম থেকে শিলিগুড়ি রুটে ট্রেনের গতি বাড়ানোর কাজ চলছে। মূলত যাত্রীদের দ্রুত এই সুবিধা দিতে তৎপর হয়েছে ভারতীয় রেল। তবে এই কাজের জন্য বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হয়েছে।
আরও পড়ুন ? Sealdah Local Trains: ঠাসাঠাসির দিন শেষ, ভিড় কমে যাবে শিয়ালদা লোকালে! মেগা আপডেট দিল রেল
সাম্প্রতিক সময়ে শেষ হওয়া রেল ট্রাকের মেরামতির কাজের জন্য যাত্রীদের এই রুটে একটু অসুবিধা হলেও পরবর্তীতে রেলপথে (Indian Rail) দারুণ সুবিধা পাবে যাত্রীরা, যা জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য সংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই সেকশন গুলিতে রেলের ট্রাকের মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়াতে এই রুটে চলা ট্রেনগুলির গতি অন্ততপক্ষে ২০% বাড়ানো সম্ভব হবে। যার ফলে যাত্রী পরিবহন ও মাল বাহী ট্রেনের ক্ষেত্রে সফরের সময় কমানো সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষে বিভিন্ন রুটে পুরনো ট্রেনগুলিকে সরিয়ে সেমি হাই স্পিড ট্রেন চালানো হচ্ছে। দেশীয়ভাবে নির্মিত এই ট্রেনগুলির যেমন যাত্রী স্বচ্ছন্দ বাড়াচ্ছে তেমনি সফরের সময়সীমা ও লাঘব করছে। দেশের অধিকাংশ রুটি। ইলেকট্রিফিকেশন সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি রেল ট্রাকের মান উন্নত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে যাতে ট্রেন গুলির গতি ন্যূনতম ১৬০ কিলোমিটার থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে উন্নীত করা যায়।