নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল পরিষেবা মানেই দেশের মানুষদের কাছে শুধু গণপরিবহনের লাইফ লাইন নয়, পাশাপাশি রেল পরিষেবা হাজার হাজারও কৌতূহলের সমষ্টি। কেননা ভারতীয় রেলে (Indian Railways) যেসব নিয়ম থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিস রয়েছে তা সম্পর্কে দেশের অধিকাংশ মানুষই জানেন না। এই সকল কৌতূহলের মধ্যেই এবার যুক্ত হতে চলেছে ভারতের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেলস্টেশন (Underground Railway Station)।
এতদিন পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবার ক্ষেত্রে আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশন ব্যবহার করার প্রচলন ছিল। কিন্তু আন্ডারগ্রাউন্ড রেলস্টেশন ব্যবহার এখনো পর্যন্ত ভারতে নেই। বিদেশের কোন কোন জায়গায় এই ধরনের রেলস্টেশন থাকলেও ভারতে তা ছিল না। এবার ভারতে তৈরি হতে চলেছে দেশের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেলস্টেশন, আর এই রেলস্টেশন তৈরি হবে পশ্চিমবঙ্গে।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমকে রেলপথে জুড়ে দেওয়ার জন্য প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেলস্টেশন তৈরি করার কাজ শুরু করা হয়েছে তিস্তা বাজারে। তিস্তা বাজার হলো কালিম্পং জেলায় অবস্থিত। এই প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে যে আন্ডারগ্রাউন্ড রেলস্টেশন তৈরি করার কাজ চলছে তাতে সেখানে ৬২০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে এবং ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের টানেল থাকবে। যেখানে আরাম করে ট্রেন দাঁড়াতে পারবে।
এই প্রকল্পের পরিচালক মহিন্দর সিং জানিয়েছেন, ব্রডগেজ নেটওয়ার্কের দিক দিয়ে একটি প্রথম ভারতের আন্ডারগ্রাউন্ড রেলস্টেশন হতে চলেছে। এই রেলস্টেশন থেকে সহজেই দার্জিলিং এবং সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক পৌঁছে যাওয়া যাবে। এখান থেকে মাত্র দু’ঘণ্টাতেই পর্যটকরা দার্জিলিং পৌঁছাতে পারবেন। এই রেলপথে মোট ১৪ টি টানেল এবং ২২ টি সেতু পড়বে। ট্র্যাকের হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা ২৫ টন এবং ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন ছুটতে পারবে।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের মধ্যে যে রেলপথ তৈরি করা হচ্ছে তার মাধ্যমে যাতায়াতের সময় কম করে এক ঘন্টা কমে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। গাড়িতে করে যে জায়গা যেতে তিন ঘন্টা সময় লাগতো সেই জায়গা দু’ঘণ্টাতেই পৌঁছানো যাবে। এছাড়াও এই রেলপথের মাধ্যমে কেবল পর্যটকদের সুবিধা প্রদান উদ্দেশ্য নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধা প্রদান উদ্দেশ্য নয়, পাশাপাশি দেশের সুরক্ষার জন্য এই রেলপথ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।