Bullet Train: এমন প্রযুক্তি আগে ছিল না! ১৪টি যন্ত্র বদলে দেবে বুলেট ট্রেনের গতিবেগ! নয়া পরিকল্পনা রেলের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল (Indian Railways) ধীরে ধীরে ব্রিটিশ আমলের শৃংখল ত্যাগ করে উন্নতির শিখরে উঠছে। উন্নয়নের এই পথে ইতিমধ্যেই দেশের রেল ট্র্যাকে দৌঁড়াতে শুরু করেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক উন্নত প্রযুক্তি ট্রেন। আর সেসবকে অতীত করে আগামী দিনে দেশের মাটিতে দৌঁড়াবে বুলেট ট্রেন (Bullet Train)।

ভারতীয় রেলের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই দেশের মাটিতে প্রথম বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক থেকে দু’বছরের মধ্যেই ভারতের মাটিতে প্রথম বুলেট ট্রেন চলাচল শুরু করবে। আর এসবের মধ্যেই এবার বুলেট ট্রেন নিয়ে নতুন এক আপডেট পাওয়া গেল। যে আপডেট যাত্রীদের নিরাপত্তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেবে।

ভারতে যে বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বুলেট ট্রেনের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৩২০ কিলোমিটার। ভারতের এই বুলেট ট্রেন জাপানের শিনকানশেন রেলের প্রযুক্তিতে তৈরি। তবে এই তীব্র গতিতে চলার কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং সেই দিকেই নজর রাখা হচ্ছে রেলের তরফ থেকে। আর এই নজর রাখতে গিয়েই এবার হাওয়ার গতিবেগ মাপবে রেল।

আরও পড়ুন 👉 Local Train Cancelled: নববর্ষের শুরুতেই শিয়ালদা ডিভিশনের বিপত্তি! ২০ দিন ভুগতে হবে যাত্রীদের

হাওয়ার গতিবেগ মাপার জন্য রেলের তরফ থেকে আরব সাগরের উপকূল ঘেঁষে তৈরি হওয়া মুম্বাই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ১৪টি অ্যানিমোমিটার যন্ত্র বসানো হবে। ৫০৮ কিলোমিটার বুলেট ট্রেন প্রজেক্টের মধ্যে ১৪টি এমন যন্ত্রের মধ্যে ৯টি বসবে গুজরাটে এবং ৫টি বসবে মহারাষ্ট্রে। আরব সাগর উপকূলে হাওয়ার গতিবেগ খুবই অনিয়মিত হওয়ার কারণেই যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য এমন যন্ত্র বসানো হচ্ছে। বাতাসের তীব্র গতিবেগ যাতে ট্রেনের কোন ক্ষতি না করে এবং যাত্রীরা যাতে নিরাপদ থাকেন তার জন্যই এমন ব্যবস্থা।

এই যে সকল যন্ত্র বসানো হচ্ছে সেই সকল যন্ত্র বিভিন্ন জায়গার হওয়ার গতিবেগ এবং হাওয়ার গতিবেগের তারতম্য সম্পর্কে তথ্য রেলের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে হওয়ার গতিবেগ যখনই ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটারে উঠে যাবে তখনই রেলের তরফ থেকে বুলেট ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যখনই বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১২৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যাবে তখন নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ট্রেন নির্দিষ্ট কোন নিরাপদ জায়গায় থামিয়ে দেওয়া হবে। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এমন প্রযুক্তি নেই বললেই চলে।