Indian Railways Development: বড় সিদ্ধান্ত রেলের! ঢালাও হবে উন্নয়ন! হাওড়া সহ ৭ রুটে ৪ লক্ষ কোটি টাকা

Indian Railways has allocated Rs 4 lakh crore for the development of seven routes: ভারতীয় রেল (Indian Railways Development) দেশের গণপরিবহনগুলির মধ্যে অন্যতম। মানুষ স্বল্প খরচে এবং অল্প সময়ে যেতে পারে দূরে কিংবা কাছে। রেলের সাতটি রুট যুক্ত করেছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তকে। এই রুটগুলির মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটারের কম। যদি আপনি দৈর্ঘ্য এর বিচার করতে চান গোটা দেশের মাত্র ১৬ শতাংশ জুড়ে আছে এই রুট। তবে এই রুটগুলির গুরুত্ব যোগাযোগ এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অপরিসীম। এদেশে পণ্যবাহী এবং যাত্রীবাহী ট্রেন মিলিয়ে মত রেল ট্রাফিকের ৪১ শতাংশ এই সাতটি রুটের উপর ভরসা করেই চলে।

ভারতীয় রেল গত দশ বছর ধরেই এই রুট গুলির উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এই সাতটি রুট যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মধ্যে তিনটি রুটের সাথেই যুক্ত রয়েছে হাওড়া। দেশের রেলব্যবস্থাকে উন্নত করতে আরো জোরালো পদক্ষেপ নেবে ভারতীয় রেল। এছাড়া দেশের পণ্যবাহী এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের গড় গতি বৃদ্ধির জন্য আগামী বছর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের আরো নতুন সংস্করণ আনতে চলেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways Development)।

পাশাপাশি জানা যাচ্ছে বন্দে ভারত মেট্রো, বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে। এছাড়াও থাকবে রেলের(Indian Railways Development) ট্র্যাকে ‘কনজেশন’ বা পর পর ট্রেন থমকে যাওয়া আটকাতে মাল্টি-ট্র্যাকিংয়ে জোর দেওয়া। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দিল্লি-হাওড়া, মুম্বই-হাওড়া, হাওড়া-চেন্নাই, মুম্বই-দিল্লি, দিল্লি-চেন্নাই, দিল্লি-গুয়াহাটি এবং মুম্বই-চেন্নাইয়ের রুট। এই রুটগুলো ভারতের অতি ব্যস্ততম রুট বলেই পরিচিত।

ভারতীয় রেলের (Indian Railways Development) সিগন্যাল ও টেলিকম বিভাগের কর্মীরা কি বলছে এই ব্যাপারে? তাদের মতে মাল্টি ট্র্যাকিং বা লাইন সংখ্যা যদি বাড়ানো হয় তাহলে যাত্রিবাহী এবং পণ্যবাহী দুই ধরনের ট্রেনই বেশি দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রেলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। তবে ২০২৪-২৫ থেকে পরের দশ বছর ধরে অর্থাৎ ২০৩৩-৩৪ এর মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

এই সাতটি রুটে যাত্রীদের চাপ বুঝে থার্ড এবং ফোর্থ লাইন বসানোর কাজ হবে, এমনটাই পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় রেল। এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে বহু জায়গায় ফ্লাইওভার, রোড ওভারব্রিজ এবং আন্ডারপাস তৈরির পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য প্রয়োজন ৪ লক্ষ ২০ হাজার কোটি। যার জন্য ইতিমধ্যেই তহবিল গঠন করার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ভারতীয় রেলের আধিকারিকরা অবশ্য বলেছেন যদি ট্র্যাকের সংখ্যা বাড়ানো হয় তাহলে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেনগুলো সমান্তরাল ভাবে চলতে পারবে। এতে সময় বাঁচবে এবং কোন ট্রেনকে অপর ট্রেনের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হবে না।