Indian Railways is removing waiting list by reforming it: বর্তমানে ভারতের পরিবহনব্যবস্থার মধ্যে রেল নিজের আধিপত্য বিস্তার করে পৌঁছে গেছে উন্নতির শিখরে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য রেল প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত করছে। কিন্তু আপনার টিকিট যদি ওয়েটিং লিস্ট বা অপেক্ষমাণ তালিকায় (Waiting list reforming) থাকে তাহলে কেমন লাগবে আপনার? কখনোই আপনার কাছে তা সুখকর হবেনা।
যাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় এই কারণে। এমনকি শেষ মুহূর্তে প্ল্যান বাতিল হবার আশঙ্কাও থাকে। কিন্তু এই সমস্যা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে, এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। এবার থেকে যাত্রীরা যখনই চাইবেন নিশ্চিত টিকিট পাবেন। সেই কারণেই বিপুল টাকা ব্যয় করছে রেল মন্ত্রক। এই প্রকল্পে খরচ হতে পারে ১ লক্ষ কোটি টাকা। তাহলে ওয়েটিং লিস্টের সমস্যা থেকে যাত্রীরা হয়তো খুব শিগগিরই মুক্তি পাবে।
এছাড়াও দুর্গা পূজা, দীপাবলি এবং ছট পুজোর মতো উৎসবগুলির সময় স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায় ট্রেনগুলির যাত্রী সংখ্যা। এইরকম পরিস্থিতির জন্য কয়েকশ যাত্রী থাকেন দীর্ঘ অপেক্ষার তালিকায়। দীর্ঘদিন ধরেই এটি যাত্রীদের সঙ্গে রেল মন্ত্রকের মাথাব্যথার কারণ এবং চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, অপেক্ষমাণ তালিকার (Waiting list reforming) সমস্যা সম্পূর্ণভাবে যাতে দূর করা যায় সেই ব্যবস্থা করছে রেলমন্ত্রক।
আরও পড়ুন ? এবার রেল ট্র্যাকে দৌঁড়াবে নতুন অমৃত ভারত ট্রেন! উদ্বোধন হবে ডিসেম্বরের এই দিন
একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায় যে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন রেল যাত্রীর সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে, তাই প্রত্যেককে নিশ্চিত আসন দেওয়া বাধ্যতামূলক। যাত্রীদের থাকতে হবেনা অপেক্ষায় (Waiting list reforming)। সেই জন্যই রেলমন্ত্রক পরিকল্পনা করছে নতুন ট্রেনের। এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য মোট ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হবে। আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের বরাদ্দ করা হবে এবং আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়বে।
জানেন ভারতে প্রতিদিন ২ কোটির বেশি যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করেন। সেই কারণে প্রয়োজন হয় ১০ হাজার ৭৫৪টি ট্রেনের। এই ট্রেনের সাথে যদি তিন হাজার ট্রেন যুক্ত হয় তবেই দেশে অপেক্ষমাণ তালিকার সমস্যা কেটে যাবে। করোনা পরিস্থিতির পর থেকে আগের তুলনায় দুটি ট্রেনের মধ্যের ফারাক বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু যাত্রী সংখ্যার কথা মাথায় রেখে এই পরিবহন একেবারেই যথেষ্ট নয়। রেলের অনুমান, ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে ১০০০ কোটি মানুষ ট্রেনে যাতায়াত শুরু করবে, তখন ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।