Howrah-Delhi Bullet train planning: ১৪৭৪ কিমি পথ, হাওড়া থেকে দিল্লি মাত্র ৬ ঘন্টা! নয়া পরিকল্পনা রেলের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল পরিষেবা এমন এক পরিষেবা যা ভারতীয় নাগরিকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় গণপরিবহন মাধ্যম। জনপ্রিয় মাধ্যম হওয়ার কারণে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফ থেকেও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রেল পরিষেবাকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতে এখন চলছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, অমৃত ভারত এক্সপ্রেস সহ অন্যান্য ট্রেন।

Advertisements

তবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের মত সেমি হাই স্পিড ট্রেনের জায়গা আগামী দিনে নিতে চলেছে হাই স্পিড বুলেট ট্রেন (Bullet Train)। হাই স্পিড বুলেট ট্রেনের মাধ্যমে যাত্রীরা চোখের পলকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে যাবেন। আর এই সকল প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য রেল বোর্ডের তরফ থেকে তৈরি করা হয়েছে হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন।

Advertisements

দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন পরিষেবা চালু করার জন্য ইতিমধ্যেই মুম্বাই আমেদাবাদ রুটে জোর গতিতে চলছে কাজ। এই রুটের ৫০৮ কিলোমিটার রাস্তায় বুলেট ট্রেনের গড় গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ২৫০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৩২০ কিলোমিটার। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন ৭৫০ জন যাত্রীকে নিয়ে মুম্বাই থেকে আমেদাবাদ অথবা আমেদাবাদ থেকে মুম্বাই পৌঁছে যাবে।

Advertisements

অন্যদিকে মুম্বাই আমেদাবাদ রুট ছাড়াও দেশের অন্য কোন কোন রুটে বুলেট ট্রেন চালানো যেতে পারে সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। আর এই তালিকাতেই জায়গা পেয়েছে হাওড়া থেকে দিল্লি রুট। এছাড়াও আরও কিছু রুটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আর সেগুলি হল দিল্লি অমৃতসর, দিল্লি মুম্বাই এবং মুম্বাই চেন্নাই। তবে এই সমস্ত রুটের মধ্যে রেল কর্তাদের কাছে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং রুট হল হাওড়া ও দিল্লি।

আরও পড়ুন ? Kavach: সাই সাই করে ছুটবে বন্দে ভারত, যুক্ত হল নতুন প্রযুক্তি।

হাওড়া থেকে দিল্লি রুট সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হওয়ার কারণ হলো, বুলেট ট্রেনের পরিকল্পনায় যে সকল রুটের কথা ভাবা হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে দূরত্বে রুট হল দিল্লি হাওড়া। দুই স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব ১৪৭৪ কিলোমিটার। স্বাভাবিকভাবেই এই দীর্ঘ রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকাঠামো তৈরি করতে অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে রেল অধিকর্তাদের। অন্যদিকে এই রুটে বুলেট ট্রেন চালানো হলে যদি ট্রেন ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে ছোটে তাহলে বিশাল দূরত্বের এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ৬ ঘন্টা।

তবে বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং হলেও রেলের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই তা নিয়ে খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যেখানে কোন কোন স্টেশনের স্টপেজ দিতে পারে সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়েছে। খসড়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, দিল্লি এবং হাওড়া দুটি প্রান্তিক স্টেশন ছাড়াও গ্রেটার নয়ডা, আলিগড়, লখনউ, সুলতানপুর, জয়পুর, বেনারস, বক্সার, পাটনা, ধানবাদ, আসানসোল এবং বর্ধমান স্টেশনকে বেছে নেওয়া হতে পারে স্টপেজের জন্য। দিল্লি হাওড়া বিশাল দূরত্বের বুলেট ট্রেন প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য এক লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisements